বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাত পোহালেই সদর উপজেলার ১৫ টি ভোট গ্রহন শুরু হবে। ১৫ ইউপির মধ্যে ১২টিতে ভোট হবে ব্যালটে। ভবানীগঞ্জ,উত্তর জয়পুর ও হাজিরপাড়া এ তিনটিতে ভোট হবে ইভিএমে। এসব ইউনিয়নে ৭৯ জন চেয়ারম্যান,সংরক্ষিত নারী সদস্য ১৫৯ ও পুরুষ ৬৪২জন মাঠে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
১৫টি ইউনিয়নে সুষ্ঠ ভোট নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। তাদের অভিযোগ আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার সমর্থকদের গুলি করে হত্যাসহ নানা হুমকি-ধুমকিতে আতংকিত প্রার্থী ও ভোটাররা। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, বিজয় হলে এলাকায় নানান উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত থাকবে।
উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের দুই বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল হোসেন ও সৈয়দ আহমদ অভিযোগ করে বলেন, তাদের প্রতিদ্বন্ধি নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান এবং তার সমর্থকরা প্রকাশ্যে চেয়ারম্যান প্রাথী ও পরিবারের সবাইকে গুলি করে হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধুমকি দিচ্ছেন। এছাড়া ভোটের আগে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এতে করে সুষ্ঠ ভোট নিয়ে শংকিত। পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী এ ধরনের কথা বলেছেন। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ ভালো রয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন জানান, নৌকার প্রার্থী আইনুল আহমেদ তানভীর ও তার সমর্থকদের হুমকি-ধুমকির ভয়ে তার লোকজন আতংকিত হয়ে পড়েছেন। প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন।
এছাড়া কুশাখালীর আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন,দিঘলীর শেখ মজিবুর রহমান, দত্তপাড়ার এটিএম কামাল হোসেন,মান্দারীর মিজানুর রহিম,ভবানীগঞ্জের আবদুল খালেক বাদলসহ প্রতিটি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছেন বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
তবে আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহিম,আইনুল আহমদ তানভীর,শেখ মজিবুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । বিএনপি দলীয় প্রতীকে এই নির্বাচনে অংশ না নিলেও বেশিরভাগ ইউপিতে বিএনপির দলীয় নেতারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। কিন্তু নৌকার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে রয়েছে। এ নিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা রয়েছেন দ্বিধাদ্বন্ধে। এনিয়ে প্রায়ই ঘটেছে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনা। এসব বিষয়ে একে অপরকে দায়ী করছেন। সুষ্ঠ ভোট নিয়ে শংকিত আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুৃমার ভৌমিক জানান.অবাধও শান্তিপূর্ন ভোট গ্রহনের জন্য নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুুতি সম্পন্ন করেছে। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।