রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আবাদী জমিতে পুনরায় আলু আবাদ শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ প্রভাবে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে বেসরকারি হিসেবে জেলায় প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর আবাদী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে পুনরায় চাষ দিয়ে আলু লাগাতে হচ্ছে। আবাদী জমির আলু বীজ নষ্ট হওয়ায় অনেক প্রান্তিক আলু চাষি স্বর্বশান্ত হয়েছে। পুজির অভাবে প্রান্তিক আলু চাষিরা আলু চাষ নিয়ে দুশ্চিতায় পরেছে। আলুর জমিতে অতিরিক্ত সার ব্যবহার করায় অন্য ফসল বা সবজি ভালো হয় না। এ কারণে জমিতে অন্য কিছু লাগানোর বিষয়ে কৃষক চিন্তায় রয়েছে। খাবার আলুকে বীজ হিসেবে ব্যবহার করায় ফলন কম হবার আশংকা রয়েছে।
জেলায় চলতি মৌসুমে ৩৭ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় জাওযাদের পূর্বে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা সম্পন্ন হয়েছিল। তিন দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে গিয়ে কোথাও জমি ডুবে গিয়ে আবাদী জমির বীজ আলু পচে যায়।
সদর উপজেলার আলদি গ্রামের আলু চাষি মো. আলীম জানান, গত বছর আলু মৌসুমে দাম পাওয়া যায়নি। আশা করে ছিলাম এ বছর আলুর দাম পাওয়া যাবে তাতে সেই ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পারবো। সেই আশায় প্রায় ৩ একর জমিতে আলু লাগিয়েছিলাম। বৃষ্টিতে সেই আশা শেষ হয়ে গেল। বৃষ্টিতে অধিকাংশ জমির লাগানো বীজ আলু নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতির পরিমান প্রায় ৫০ লাখ টাকা। নতুন করে এসব জমিতে চাষ দিয়ে আবার বীজ আলু লাগাতে হবে।
রামপালের ফিরোজ দেওয়ান জানান, গত আলু মৌসুমে জমিতে আলু বিক্রি করে ন্যায্য মূল্য পাইনি। এবার ন্যায্য মূল্য পাবার আাশয় অনেক কষ্ট এবং দারদেনা করে বৃষ্টির পূর্বে দুই কানি জমিতে আলু লাগিয়ে ছিলাম। বৃষ্টি আমার সব শেষ করে দিয়েছে। নতুন করে আলু আবাদে আর্থিক সংকটে পরতে হয়েছে। ক্ষুদ্র আলু চাষি জিয়াউর রহমান বলেন, বীজ আলু না পেয়ে খাবার আলুকে বীজ হিসেবে লাগাচ্ছি। এত ফলন কম হবে।
কৃষক বীজ আলু না পেয়ে খাবার আলুকে বীজ হিসেবে ব্যবহার করছে। হল্যান্ডের (ডাইমন্ড) প্রতি বাক্স বীজ আলু বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১শ’ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক মো. খুরশীদ আলম জানান, জেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১১ হাজার ৬ শত হেক্টর আবাদী আলুর জমি নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের এসব জমিতে আলুর পরিবর্তে ভুট্টা, হাইব্রিড বোরো ধান বা সবজি চাষ করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আলু চাষিদের প্রণোদনা দেবার সুযোগ না থাকায় জেলার ৮ হাজার ভুট্টা, হাইব্রিড বোরো ধান বা সবজি চাষিদের আর্থিক সহায়তা দেবার একটি প্রস্তাবনা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, একটি স্বার্থন্বেশী মহল বীজ আলুর দাম বৃদ্ধি করার পায়তারা করছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সকল ডিলারদের এ বিষয়ে সর্তক করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।