রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঢাকার ধামরাইয়ে অপরাধ দমনে সিসি ক্যামেরা বসানোকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধামরাই স্টুডেন্ট ফোরাম উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইলমা চৌধুরী মেঘলা হত্যার ঘটনায় নির্যাতনকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এ পৃথক দু’টি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে থানা বাসস্ট্যান্ডে ধামরাই প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পৃথক মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ শতশত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে তারা ঢাকা আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
জানা যায়, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণপাড়া মহল্লায় চুরি, মাদক ছিনতাই ও অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধের জন্য মহল্লার সচেতন লোকজন মিলে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ওই মহল্লার চিহ্নিত মাদকসেবী দিদার বাহিনী সুমন মোল্লা ও মমিনুল ইসলামের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আহতরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ মানববন্ধনে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি রমিছুজ্জামান সাইদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিনুল হাসান গার্নেল, সাবেক কাউন্সিলর শামীম হোসেন, ধামরাই সমাজ কল্যান সংস্থার সভাপতি খন্দকার আবু তাহের মুকুট, ৫নং ওয়ার্ড আ.লীগের সহ-সভাপতি খালেক, সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি ইমরান হোসেন ও জগদীশ সরকারসহ অন্যান্যরা।
অপরদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইলমা চৌধুরী মেঘলার খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধামরাই স্টুডেন্ট ফোরাম। এ মানববন্ধনে নিহত ইলমার বাবা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধামরাই স্টুডেন্ট ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা এ আর খান রানা, উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ ইউসুফ সুমন ও উপদেষ্টা সদস্য আব্দুল আহাদ তুহিনসহ অন্যান্যরা। সভাপতিত্ব কারেন ফোরামের সভাপতি অসিম কুমার নিশ্বাস।
মানববন্ধনে নিহত ইলমা চৌধুরী মেঘলার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমার মেয়েকে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। তার শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। হত্যাকারীদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি যেন আর কোন মেয়ে তার শ্বশুরবাড়িতে এমন ঘটনার সম্মুখীন না হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।