রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মৌমাছির গুনগুন আওয়াজ আর পড়ন্ত বিকেলে শিক্ষার্থীদের মন মাতানো আনন্দ এখন বিলুপ্তির পথে। রং বেরঙের ফুলের সৌন্দর্যের সমারহে ভরে যেতো ইসলমী বিশ^বিদ্যালয়ের মফিজ লেকটি। যার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসতো ক্যাম্পাসের পাশ^বর্তী এলাকার প্রকৃতি প্রেমিরা। শীতের মৌসুমে লেকের সংশ্লিষ্ট কংক্রিটের বাঁধানো রাস্তার দু’ধার দিয়ে শোভা পেত সূর্যমুখী, গাধা, গোলাপসহ বিভিন্ন প্রজাতের ফুল। এসব নান্দনিক সৌন্দর্যের কারণে লেকটি শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের কাছে ক্যাম্পাসে ‘এক টুকরো হাতিরঝিল’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল। তবে এ বছর প্রশাসনের পক্ষ থেকে লেকের রাস্তার ধার দিয়ে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ।
জানা যায়, শীতের মৌসুমে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী ভবনের আশপাশ শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধের সামনে এবং লেকের রাস্তার দুই কিনার দিয়ে শীতকালীন ফুল লাগানো হয়। কিন্তু এ বছর শীতের আগমন হলেও ফুলের সৌন্দর্যে সুসজ্জিত হয়নি ক্যাম্পাসের লেকটি। ফলে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আবাসিক ভবনগুলাতে অবস্থান করা কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। লেক পরিষ্কার ও সংস্কারের ক্ষেত্রে এস্টেট অফিসের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ রয়েছে। করোনার পরবর্ততীতে লেকের পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কারের কথা থাকলেও কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ পাওয়া যায়নি। এখন হাতিরঝিল নামে পরিচিত লেকটি কচুরিপানা লেক নামে ডাকতে শুরু করেছেন অনেকেই।
লেকের কচুরিপানা পরিষ্কার ও অন্যান্য সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে এস্টেট শাখার প্রধান টিপু সুলতান বলেন, ‘৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরিস্কার করা শুরু করছে কিনা জানিনা। যদি শুরু করা না হয় তাহলে আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু করা হবে।’
তারেক জামিল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা যখন বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তি হই তখন বিভিন্ন স্থানে শীতকালীন ফুলসহ বিভিন্ন প্রকার ফুলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হই। স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য বিকাল হলে বন্ধুরা দলবদ্ধ হয়ে লেকে যেতাম প্রকৃতির সাথে নিজেদেরকে মিলিয়ে ক্যামেরা বন্ধী করে রাখার জন্য। কিন্তু লেকটিতে শীতকালীন ফুল না লাগানোতে প্রকৃতির সৌন্দর্য থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।’
আবাসিক ভবনে অবস্থান করা এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সারাদিন কর্মব্যস্ততা শেষে ক্লান্তি দূর করার জন্য পরিবারকে সাথে নিয়ে ঘূরতে বাহির হওয়াটা গতানুগতিক অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে।
ছেলেমেয়েদের আবদার রাখার জন্য তাদেরকে ঘূরাতে হতো। তাদের ঘূরার পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছিল ক্যাম্পাসের লেকটি। কিন্তু ফুলের সৌন্দর্য না থাকায় এখন আর তারা লেকটিতে যেতে চায়না।’
প্রকৌশলী প্রধান মুনশি শাহিদ উদ্দিন তারেক বলেন, ‘আর্থিক সঙ্কটের কারণে এ বছর লেকে ফুলগাছ লাগানো হয়নি। বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন থেকে যে অর্থ পাওয়া গেছে তার তিনগুণ খরচ হয়ে গেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।