বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
“খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনের বিকল্প নেই।” দেশে গণতন্ত্র নেই, ভোটাধিকার নেই, আইনের শাসন নেই। দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে, জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে খালেদা জিয়াকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। খালেদা জিয়াকে বন্দি করে গণতন্ত্রকে বন্দি করা যাবেনা। বর্তমান সরকার খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে আন্দোলনের বিকল্প নেই। এখন সবাইকে ঐক্যবন্ধভাবে আন্দোলন কওে এই ভোট চোর সরকারের পতন ঘটাতে হবে। শুক্রবার বিকেলে জয়পুরহাট জেলা বিএনপি আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার বিদেশে চিকিৎসার দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসাবে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সমাবেশে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, আদালত সরকারের আগ্যবহ। আদালতে খালেদা জিয়ার প্রতি ন্যায় বিচার হয়নি। তাই আমাদের অধিকার আমরা প্রতিষ্ঠিত করবো অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর অনুমতি না দিলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের হুশিয়ারি দেন তিনি। এজন্য যেকোন সময় ডাক আসতে পারে বলে তিনি নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।
জয়পুরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শামসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, ওবায়দুর রহমান চন্দন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারন সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু. কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমানসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।