বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে ফোনালাপের মাধ্যমে উসকানির অভিযোগে ছাত্রলীগের এক নেতার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দুজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগে তার নামে তথ্য প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় গুহ গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা দুটির পৃথক প্রতিবেদন জমা দেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান বলেন, আমীর খসরুসহ দুই জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত অপরজন হলেন মিলহানুর রহমান। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় দুজনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের ৪ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে মহানগর ছাত্রলীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দুটি করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলেন। ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হন। এ ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলন চলাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। এটি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বলে অভিযোগ উঠে। তাতে কুমিল্লা থেকে মিলহানুর রহমান নামের এক কর্মীর সঙ্গে একজনকে কথা বলতে শোনা যায়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে লোকজনকে নামানোর জন্য বলতে শোনা যায় তাকে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মামলা তদন্তে প্রত্যক্ষভাবে রাষ্ট্রযন্ত্র অচল, সরকারবিরোধী কার্যকলাপ, নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘটানো, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আমীর খসরু ও মিলহানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। তবে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে একই অভিযোগে করা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তথ্যগত ভুল উল্লেখ করে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করে চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়। এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।