বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শিক্ষা অফিসারকে লাঞ্ছিত করার অপরাধে গ্রেফতার জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার বরখাস্ত মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহের দেশত্যাগের কোনো পরিকল্পনা ছিল না বলে জানিয়েছে র্যাব। তিনি গ্রেফতার এড়াতেই কয়েকদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। আর এজন্য রাজধানী ঢাকায় আসেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেফতারের পর এ বিষয়ে দুপুরে স্পট ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, গ্রেফতার শাহনেওয়াজ মামলার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান। তিনি যে দলের সঙ্গে ছিলেন, সেই দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কারও কাছে কোনো সহযোগিতা পাননি। কারণ, তার আচরণ ছিল গর্হিত ও লজ্জাজনক। তাই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে বহিষ্কার করে।
শিক্ষা কর্মকর্তাকে কেন লাঞ্ছিত করেছে জানতে চাইলে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, তার মধ্যে দাম্ভিকতা ছিল, তার বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের নমুনা আমরা দেখেছি। এছাড়া ইতিপূর্বে তার মধ্যে পাঁচটি মামলা রয়েছে। তারমধ্যে মারামারি, পুলিশ অ্যাসল্টসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। ঘটনার দিন ফুল দেওয়ার মতো তুচ্ছ কারণে তিনি উত্তেজিত হন এবং শিক্ষা অফিসারকে লাঞ্ছিত করেন। আজকে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদে করেছি, যতটুকু বুঝতে পেরেছি দাম্ভিকতা ছাড়াও মাদকের প্রভাব ছিল।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক র্যাব কর্মকর্তা বলেন, মো. শাহনেওয়াজ শাহানশাহর মাদক সেবনের পেছনে প্রতি মাসে খরচ ছিল তিন লাখ টাকার বেশি। নিয়মিত ফেনসিডিল ছাড়াও ইয়াবা ও ভয়াবহ মাদক হেরোইনে আসক্ত ছিলেন তিনি। সেবন করতেন গাঁজাও। তার কারণেই দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার কর্মীরা নয় মাস ধরে বেতন পাচ্ছিলেন না। গড়ে প্রতিদিন সাড়ে দশ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকার মাদক লাগতো তার। এসব মাদকের মধ্যে প্রতিদিন পাঁচটা ইয়াবা, দেড় বোতল ফেনসিডিল, দুই গ্রাম হেরোইন। যার মধ্যে পাঁচ ঘণ্টা পরপর ০.২৫ গ্রাম সেবন হেরোইন করতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।