পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লেখক ওব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সেনাবাহিনীর বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়াকে খুঁজছে র্যাব। দেশে কিংবা দেশের বাইরে যেখানেই থাক তাকে খুঁজে বের করে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তবে অভিজিৎ রায়কে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী জিয়া ও আকরামকে ধরতে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তিনি আরো বলেন, অভিজিৎ হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত ও আসামিদের গ্রেফতারে র্যাবই প্রথম কাজ করে। অভিজিৎ হত্যাকান্ডের আসামিদের বিচার নিশ্চিতে সরকার দৃঢভাবে কাজ করেছে। এই হত্যাকান্ডের পর মেজর জিয়াকে বিভিন্নভাবে খোঁজ করার জন্য র্যাব কাজ করেছে। সা¤প্রতিক সময়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এই আনসার আল ইসলামের সঙ্গে মেজর জিয়ার সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। এই মাধ্যমেও তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে র্যাব।
তিনি বলেন, এর আগে বিভিন্ন সময় তথ্য ছিল মেজর জিয়া দেশে আছেন, পরবর্তীতে আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াই। আমরা সন্দেহ করছি তিনি এখন দেশের বাইরে আছেন। তবে মেজর জিয়াকে গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গোয়েন্দা নজরদারিও চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। তিনি যদি বিদেশে থাকেন তাহলে দেশে এনে বিচারাধীন প্রক্রিয়ায় সরকার বিচার করবে। আর যদি দেশে আসেন আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে, তাকে গ্রেফতার করা হবে।
এদিকে, অভিজিৎ হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াকে গ্রেফতার করতে ৮ বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গোয়েন্দারা। এর মধ্যে কয়েকবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় তার সন্ধান পান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু তাকে গ্রেফতারের সেই চেষ্টা এখনও সফল হয়নি। গত মঙ্গলবার ২১ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মানিকগঞ্জে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কাছে যতটুকু তথ্য আছে, তারা (জিয়া ও আকরাম) দেশে নেই। অন্য দেশে গাঢাকা দিয়েছেন। যত দ্রুত সম্ভব তাদের ধরে এনে রায় কার্যকর করা হবে। এ জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।