Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোনারগাঁওয়ে স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি, আহত -১২

নারায়ণগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:১০ পিএম | আপডেট : ৮:১১ পিএম, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে স্ট্যান্ড দখল নিয়ে ক্ষমতাসীন দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুপক্ষের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সোনারগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় মহাসড়কে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, উপজেলার কাচঁপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রাইভেটকার স্ট্যান্ড দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবুর সাথে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খান লিটনের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এদিকে কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রাইভেট কার স্ট্যান্ডে শফিকুল ইসলাম খান লিটনের লোকজন দখল করে চাঁদা উত্তোলন করে আসছিল। বুধবার বিকেলে বাবুল ওমর বাবুর সমর্থক মনু মেম্বারের নেতৃত্বে একদল লোকজন চাদাঁবাজি বন্ধ করার জন্য বাঁধা দেয়। এসময় তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে । তারা দু'পক্ষের লোকজনই অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়ার কারণে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দু'পক্ষের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়। তাদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাচঁপুর থেকে মদনপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সোনারগাঁও থানা পুলিশ ও কাচঁপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খান লিটন বলেন, তার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে স্ট্যান্ডে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। বাবুর লোকজন দখলে নেয়ার চেষ্টা করলে তারা বাঁধা দেন। এতে আমার ৮জন নেতাকর্মীকে তারা কুপিয়ে আহত করেছে।

অপরদিকে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু জানান, লিটন খানের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করে আসছে। আমার নিজস্ব গাড়ি থেকেও তারা চাঁদা দাবি করে। আমার লোকজন বাঁধা দেয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ