Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আতঙ্ক নয় সচেতনতা জরুরি

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

ওমিক্রন থেকে সেরে উঠে বাড়ি ফিরলেন দুই নারী ক্রিকেটার
স্বাস্থ্যবিধি মানা, করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিং বাড়ানো এবং টিকা প্রয়োগে আরো গতিশীল করতে
হবে : প্রফেসর ডা. বে-নজির আহমেদ
ডেলটার মতো ভয়ঙ্কর নয়, যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তারা অনেকটা সুরক্ষিত : প্রফেসর ড. বিজন কুমার শীল
প্রতিরোধে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে : প্রফেসর ডা. এবিএম খুরশীদ আলম

অজানা মহামারি করোনায় প্রায় দু’বছর থেকে বিপর্যস্ত বিশ্ব। ইতোমধ্যে বিভিন্ন রূপ ধারণ করেছে ভাইরাসটি। বিশ্বে এখনো দাপট দেখাচ্ছে করোনাভাইরাসের ডেলটা কিংবা বিটা ভ্যারিয়েন্ট। এরই মধ্যে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল এবং বিশ্বের শতাধিক দেশে শনাক্ত হয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট অতি সংক্রামক ‘ওমিক্রন’। ওমিক্রন কতটা ভয়ঙ্কর, এখনো তা নিয়ে তেমন কিছুই জানা না গেলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও) এ নিয়ে উদ্বিগ্ন। সংস্থাটি কমিউনিটি ট্রান্সমিশন আছে, এমন সব এলাকায় মহামারির প্রাদুর্ভাবের হারও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে সম্ভাব্য ‘গুরুতর পরিণতি’র ব্যাপারে সতর্ক করেছে তারা। ১৯৪টি সদস্য দেশকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল পরামর্শ হলো- উচ্চ-অগ্রাধিকার গোষ্ঠীর মানুষদের টিকাদান প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করতে এখন থেকে পরিকল্পনা করা। দেশেও বিশেষজ্ঞরা এখনই ওমিক্রন নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছেন। এ জন্য সবার জন্য টিকা, বুস্টার ডোজ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক জীবন-যাপনের কথা বলেছেন। অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশেও সবাইকে টিকার আওতায় আনা এবং বুস্টার ডোজ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটি। গবেষকরাও বলছেন, দুই ডোজ টিকা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে না, সেজন্যই বুস্টার প্রয়োজন। আর এ ধারাবাহিকতায় পৃথিবীর বড় দেশগুলোর মতোই বাংলাদেশেও বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। গত রোববার উদ্বোধনের পর দেশে বুস্টার ডোজ টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঢাকায় এ টিকা ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের দেয়া হবে। ২৮ ডিসেম্বর থেকে এ টিকা কার্যক্রম চলবে সারাদেশে। যদিও দেশে এখন পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ২৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ মানুষ।

অবশ্য ওমিক্রন ঠিক কী মাত্রায় মানুষকে সংক্রমিত করতে সক্ষম হবে, অতীতে আক্রান্ত কিংবা টিকা নেয়া মানুষদের ইমিউন সুরক্ষা ভেদ করতে পারবে কি না; তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে পূর্ববর্তী যেকোনো ধরনের তুলনায় এর স্পাইক মিউটেশন হয়েছে অনেক বেশিবার। সে কারণেই বিজ্ঞানীরা এটি নিয়ে আতঙ্কিত। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এটি শরীরে জমা হওয়া প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে দিতে পারে। আনতে পারে নতুন ঢেউ। যদিও এর সবটাই অনুমান, আরো বিস্তারিত গবেষণার আগে সুনির্দিষ্ট করে এই ধরন নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। যদিও নতুন ধরন শনাক্তকারী দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধরনে আক্রান্তদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ দেখা গেছে এবং কাউকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। বিশেষজ্ঞরা তাই ওমিক্রন নিয়ে ভয় পাওয়ার বদলে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

বর্তমানে ‘ওমিক্রন’ বাংলাদেশের দরজায় কড়া নাড়ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের দুই ক্রিকেটার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন দ্রæত ছড়িয়ে পড়াতে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের মাঝ পথেই জিম্বাবুয়ে থেকে ফেরত আসে নারী দলের ক্রিকেটাররা। অবশ্য ১৪ দিনের আইসোলেশনের পর সেরে উঠেছেন এই দুই নারী ক্রিকেটার। গতকাল সোমবার এই দুজনের আরেক দফা কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। তারা হাসপাতাল থেকে ছাড় পেয়ে বাড়িও ফিরে গেছেন। বিসিবির চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী দুই ক্রিকেটারেরই ফল নেগেটিভ এসেছে। তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক প্রফেসর ডা. নাজমুল ইসলাম বলেছেন, আমরা মনে করি ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার চেয়ে, সতর্ক ও সচেতন হওয়া জরুরি। আমরা যদি নিজেরা সচেতন হই, নিজেদেরকে মুক্ত রাখি, তাহলে আমাদের পরিবারও সুরক্ষিত থাকবে। এমনকি এটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পুরো দেশকে সুরক্ষিত রাখবে। তাই রাজনীতিবিদ, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা, উন্নয়ন সহযোগীসহ প্রত্যেকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধের কাজটি আমারা করতে পারব। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে, করোনা প্রতিরোধে এটিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ দ্রæত ছড়িয়ে পড়ায় এটি নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই নতুন ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে। নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এন্টার্কটিকা ছাড়া সব মহাদেশেই দ্রুত পৌঁছে যেতে পারে ওমিক্রন। নতুন এ ধরন থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিশ্বের ৭০টি দেশ। অণুজীব বিজ্ঞানীরাও জানিয়েছেন, ওমিক্রন অস্বাভাবিকভাবে রূপান্তরিত হয়েছে এবং অন্য যেকোনো ধরন থেকে এটি আলাদা। এ ধরন তাদের হতবাক করেছে। করোনাভাইরাস সব মিলিয়ে ৫০ বারের মতো জিনবিন্যাস পরিবর্তিত হয়ে ‘ওমিক্রন’ রূপ পেয়েছে।

এদিকে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরসহ দেশের সব প্রবেশপথে স্ক্রিনিং আরো জোরদারের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওমিক্রন মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছেন রাজধানীর করোনা বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালগুলোর কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি। করোনার সময়ে যেভাবে রোগীদের সেবা দিয়েছি, যে ধরনই আসুক না কেন, সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত। তবে এটি প্রতিরোধে সবাইকে মাস্ক পরা ও সতর্কতার সঙ্গে চলার আহবান জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ওমিক্রন মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, সংক্রমিত দেশ থেকে বাংলাদেদিদের এ মুহ‚র্তে না ফিরতে অনুরোধ করা হচ্ছে। সীমান্তে পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি জোরদার করা হয়েছে। যারা দেশের বাইরে থেকে আসবে, তারা সেখানে নিজ খরচে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন করতে পারবেন। করোনার সংক্রমণ বাড়লে সামাল দেয়ার জন্য সব জেলা হাসপাতালকে প্রস্তুত করতে আগেই চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সবার জন্য টিকার স্বাভাবিক কার্যক্রম এবং বুস্টার ডোজ একসঙ্গে চলবে।

এদিকে বাংলাদেশের পাশের দেশ ভারতেও ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে, শনাক্ত হয়েছে শ্রীলংকা ও নেপালেও। আর এতে করে ওমিক্রন থেকে শঙ্কামুক্ত নয় বাংলাদেশ। যার কারণে ওমিক্রন ঠেকাতে ১৫টি নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর, সুপারিশ দিয়েছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও। যদিও রাজধানীর কোথাও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সেই নির্দেশনা কিংবা জাতীয় কমিটির সুপারিশের বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। ভারতে ওমিক্রন দ্রæত ছড়িয়ে পড়লেও ভারতের সঙ্গে প্রবেশপথগুলোতে এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ এখনো গ্রহণ করা হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১৫ নির্দেশনার মধ্যে অন্যতম হলো- সকল ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য জনসমাগম নিরুৎসাহিত করা, প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির সর্বদা সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা, রেস্তোরাঁতে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম রাখা, সকল প্রকার জনসমাবেশ, পর্যটন স্থান, বিনোদন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল বা থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি) ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম সংখ্যক লোকের অংশগ্রহণ, মসজিদসহ সকল উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা এবং গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা, শপিং মল, কাঁচাবাজার, রেস্তোরাঁতে ঘুরে দেখা যায়, কোথাও সরকারের নির্দেশনার কোনো বাস্তবায়ন নেই। মানুষের মুখে মাস্ক নেই, হয় গলায় নয়তো থুতনিতে। কারো আবার ব্যাগে বা পকেটে। মাস্ক পরায় নানা অজুহাত ছিল মানুষের শুরু থেকেই। প্রায় ২ বছর হতে চললেও এখনো মাস্কে অভ্যস্ত হতে দেখা যাচ্ছে না। বরং সাম্প্রতিক সময়ে করোনার প্রাদুর্ভাব কম হওয়াতে আরো অনীহা দেখা গিয়েছে।

তবে শুধু দেশের প্রবেশপথে কড়াকড়ি আরোপ করে করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না বলে মনে করেন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. বে-নজির আহমেদ। তিনি বলেন, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বাংলাদেশিরা থাকেন। তাদের মাধ্যমে বা বিদেশিদের মাধ্যমে ওমিক্রনের সংক্রমণ দেশে আসবে। এজন্য দেশের মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ এ বিশেষজ্ঞের। অভ্যন্তরীণ সংক্রমণ প্রতিরোধে তিন ধরনের কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানান ডা. বে-নজির আহমেদ। তিনি বলেন, দেশে করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিং বাড়াতে হবে। এতে রোগী শনাক্ত হলে খুব দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া যাবে। রোগী শনাক্ত হলে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রাখতে হবে। এসব লোকজন কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের শনাক্ত করে কোয়ারেন্টিন করতে হবে। রোগী শনাক্ত হলে দ্রæত ঘোষণা দিতে হবে।

ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধিই অন্যতম পন্থা বলে মনে করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক এ পরিচালক। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ তার। একই সঙ্গে টিকা প্রয়োগ আরো গতিশীল করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, টিকা কার্যক্রম প্রথমে যেভাবে শুরু হয়েছিল, তা এখন অব্যাহত নেই। বেশিসংখ্যক মানুষকে পূর্ণাঙ্গ টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক দেশের থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এজন্য টিকা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. বিজন কুমার শীল বলেছেন, ধারণার চেয়েও দ্রæত ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। তবে ডেলটা ধরনের মতো এটি ভয়ঙ্কর নয়। এই গবেষক বলেন, ইতোমধ্যে যারা করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তারা অনেকটা সুরক্ষিত। তবে এর বিপরীতে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কতটুকু তা নিয়ে এখনো পর্যালোচনা চলছে।

ওমিক্রন প্রতিরোধে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার নির্দেশিত কার্যক্রম ঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি-না, তার জন্য মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালককে (প্রশাসন) প্রধান করে সব পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টরকে সদস্য করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি সপ্তাহে অন্তত দুবার বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে। একই সঙ্গে দেশের সব পর্যায়ের হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।



 

Show all comments
  • Tarikul Islam ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৫:৫৯ এএম says : 0
    সবচেয়ে বড় ভাইরাস হচ্ছে ভ্যাক্সিন বাণিজ্যের অংশীদার কিছু মিডিয়া। খুব চেষ্টা চালিয়েও ভাইরাস আশানুরূপ ফল পাচ্ছে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Ashiq Mahmud ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:০০ এএম says : 0
    জীবন এই করোনাই শেষ করে দিল
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammad Bin Ismail ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:০০ এএম says : 0
    আক্রান্তের সাথে মৃত্যুর সংখ্যাটাও বললে নিউজ এর উদ্দেশ্যেটা অর্জন হবে। খালি শুনি আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু ওমিক্রনে কয়জন মেডিকেল রিপোর্ট এ মৃত্যু প্রমাণ পাওয়া গেছে সেটাই হিসাবে আসুক। কত হাজার হাজার ওমিক্রন নিয়ে আমরা ঘুরে বেড়ায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Abrar Zarif ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:০১ এএম says : 0
    বাংলাদেশে উদ্বেগ উৎকন্ঠা কিছুই নেই, তবে সতর্কতার দরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • Khalid Saifullah Fakir ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:০১ এএম says : 0
    নগন্য মৃত্যু হার এই অমিক্রনে। দয়া করে ভীতি ছড়াবেন না। ডেল্টার চেয়ে ৯০% কম সমস্যার এটা। যদিও ছয়ায় বেশি। মৃত্যু হার কম।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Rasel Parvez ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:০২ এএম says : 0
    বাংলাদেশে যদি লকডাউন দেয় এবার যেন ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দেয় সরকার!! সিঙ্গাপুরের চেয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা!!
    Total Reply(0) Reply
  • Sheikh Md AmAn ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:০২ এএম says : 0
    বাংলাদেশে কোনো করোনা নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Shohel Rana ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:০২ এএম says : 0
    ওমিক্রন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং মিডিয়া উভয়ই বেশি বেশি আতংক ছড়াচ্ছে বলে মনে করি।
    Total Reply(0) Reply
  • Komol Dey ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:০৩ এএম says : 0
    যত দ্রুত গতিতে ছড়াবে, তত দ্রুত গতিতে করোনা বিদায় নেবে, টেক কেয়ার
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওমিক্রন

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ