Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রেসিডেন্টের সংলাপ জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা : সংবাদিকদের রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে প্রেসিডেন্ট সংলাপের উদ্যোগকে ভেল্কিবাজি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এই সরকারের প্রেসিডেন্ট সংলাপ ডেকেছেন, সুতরাং সরকারের কথার বাইরে তো এক ধাপও তিনি এগুতে পারবেন না। অবৈধ এই সরকারের পক্ষ হয়ে প্রেসিডেন্ট যে সংলাপ করছেন এটা জনগণ ও ভোটাদের প্রতি এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা করা।

গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরে-ই বাংলা নগরে খুলনা জেলা ও মহানগরের নবগঠিত আংশিক কমিটির নেতাদের সাথে নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার রুহের মাগফেরাত কামনা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে এ সংলাপ করছেন। আমি বলতে চাই, প্রেসিডেন্ট তো দেশের অবিভাবক। তিনি যদি অভিভাবক হন, তাহলে সারা জাতি কি চান, তাদের কন্ঠ থেকে কি শব্দ বের হচ্ছে - এটা তো একজন অভিভাবকের বোঝার কথা। একটি পরিবারে যিনি অবিভাবক যেমন পরিবারের অন্যান্য সদস্য বা সন্তানের অভাব অভিযোগ শোনেন এবং সেই অনুযায়ি ব্যবস্থাও নেন। রাষ্ট্রের অভিভাবকের তো সেটাই করার কথা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে যে আইন করার কথা, সে আইন তো করা হয়নি। এছাড়া দেশে সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা করা দরকার সেটাও করা হয়নি। তাহলে প্রেসিডেন্ট কিসের সংলাপ করছেন? আবার কি একটা হুদা মার্কা নির্বাচন হবে? আবার কি আরেকটি রকিব মার্কা নির্বাচন হবে? হুদা মার্কা নির্বাচনে দেখেছি নিশিরাতের নির্বাচন, দিনে নির্বাচন হয় না; রাতে হয়। রকিব মার্কা নির্বাচনে দেখেছি চতুষ্পদ জন্তু ঘুরে বেড়ায়, সেখান ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যায় না। এই হচ্ছে পরিস্থিতি। সংলাপের নামে যে ভেলকিবাজি, বাইস্কোপ করা হচ্ছে এর জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যদিয়ে ভৌগলিক স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি। কিন্তু প্রকৃত অর্থে যে স্বাধীনতা তা আমরা পাইনি। কারণ, আজকে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই তারা গণতন্ত্রকে কষাইয়ের মতো হত্যা করেছেন। গণতন্ত্রের মৌলিক বিষয়- নাগরিক স্বাধীনতা, সমাবেশ করার স্বাধীনতা, বিরোধী দলের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সকল স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যা করেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও তারা এটা করেছে, এখনো করছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানিদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাবন্দি করছে। গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তার যে মৌলিক অধিকার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সেটাও সরকার দিচ্ছে না। সরকার একটা অমানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। এ সময় গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিও জানান রিজভী।
এ সময় তার সাথে দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান শামীম, রবিউল ইসলাম রবি, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, খুলনা মহানগর কমিটির আহŸায়ক অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা, যুগ্ম-আহŸায়ক তরিকুল ইসলাম জহির ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন এবং জেলার আহŸায়ক আমির এজাজ খান, যুগ্ম আহŸায়ক আবু হোসেন বাবু ও সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ###

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ