Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রামেক হাসপাতালে চার দিন ধরে করোনা পরীক্ষা বন্ধ

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৪২ পিএম

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ল্যাবের ২ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেয়ার পর থেকে গত তিন দিন ধরে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। গত শুক্রবারের (১৭ ডিসেম্বর) পর হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। তবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে আগের নিয়মেই নমুনা পরীক্ষা চলছে।
জানা গেছে, রামেক হাসপাতাল ল্যাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বিভাগীয় ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এসএম হাসান এ লতিফ ও হামিদ আহমেদ। গত বছরের মার্চ থেকে তারা রামেক হাসপাতাল ল্যাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
সর্বশেষ গত ১১ ডিসেম্বর তারা অব্যহতি চেয়ে হাসপাতাল পরিচালক বরাবর চিঠি দেন। পরিচালকের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তারা ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ল্যাবে কাজ করেন। তবে ১৭ ডিসেম্বর থেকে তারা আর ল্যাবে আসেননি।
ডিএনএ ল্যাবে কাজের চাপ বেড়েছে উল্লেখ করে তারা হাসপাতাল ল্যাব ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এসএম হাসান এ লতিফ।
এদিকে, সম্প্রতি রামেক হাসপাতাল ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষার কিট নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। এই কারণে অব্যহতি নেওয়া দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার নাম আসে।
পরে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতাও পায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উচ্চতর তদন্তের নামে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ্রহণ ঝুলে ছিল। এরই মধ্যে এই দুই কর্মকর্তা দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন।
রামেক হাসপগ্রতাল সূত্র জানিয়েছে, এই দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার সঙ্গে ল্যাবের দুই টেকনোলজিস্ট দ্বন্দে জড়িয়েছিলেন। এরই জেরে ওই দুই টেকনোলজিস্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কিট নয়ছয়ের অভিযোগ আনেন। নথিপত্র সংরক্ষণ ত্রুটি থেকে এমন কান্ড ঘটতে পারে। কিটের হিসেবের গড়মিলের অভিযোগ পেয়ে গত ৯ নভেম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান শাহ আলমকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শেষে দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার অব্যহতিসহ উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ করে কমিটি।
এ বিষয়ে রামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, ওই দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ নন।
দেশে করোনার ক্রান্তিকালে তাদের রামেক হাসপাতাল ল্যাবে কাজে লাগানো হয়েছিল। ডিএনএ ল্যাবে কাজের চাপ বেড়ে গেছে জানিয়ে তারা হাসপাতাল ল্যাব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। দক্ষ জনবল সংকটে হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাব আপাতত বন্ধ রয়েছে। এখন করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী। রামেক ল্যাবেই এই পরীক্ষা হচ্ছে।
তবুও দক্ষ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জনবল পেলেই ল্যাব চালু হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ