পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাতে হাতে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা, জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি, বজ্র কণ্ঠে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। গতকাল রোববার সকাল থেকেই বিজয়নগর কাকরাইল, ফকিরাপুল এলাকায় দেখা গেছে এমন দৃশ্য। দলে দলে নেতাকর্মীরা ছুটেছেন বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের র্যালিতে অংশ নিতে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এসব মিছিলের অংশগ্রহণে বেলা ১২টার আগেই নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, নাইটিঙ্গেল মোড় এলাকায় হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই। যদিও পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা ২টায় র্যালি শুরু হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট পরে শুরু হয় বিএনপির বিজয় র্যালি। এর আগেই বেলা ১২টায় নয়াপল্টনের নাইটেঙ্গল থেকে ফকিরেরপুল বাজার পর্যন্ত সড়ক ভরে যায় হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থকে। এই দীর্ঘ সড়কে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা এবং ওয়ার্ড থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল মিছিলে নয়া পল্টনে এলাকা জনসমুদ্রে রুপ নেয়।
এসময় নেতাকর্মীদের হাতে হাতে ছিলো লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা এবং জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড। বজ্রকণ্ঠে স্লোগান তোলেন ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও লও লও সালাম’, ‘এক জিয়া লোকান্তরে, লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে’, ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, ‘আমার নেত্রী আমার মা, বন্দি থাকতে দেবো না’, ‘বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে’ ইত্যাদি শ্লোগানে শ্লোগানে নেতারা ছিলো সর্বক্ষণ সরব-সোচ্চার, মুখোরিত করে তোলেন গোটা এলাকা। এই সময়ে সড়কের দুই পাশের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন নেতাকর্মীদের করতালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেছে।
শোভাযাত্রায় জনস্রোত: বর্ণাঢ্য র্যালি শুরুর আগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় খোলা ট্রাকের মঞ্চে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে র্যালির শুরুর ঘোষণা দেন। পরে তিনি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমূখ নেতারা নিয়ে পায়ে হেটে র্যালিতে অংশ নেন।
র্যালিতে সামনে ছিলো মুক্তিযোদ্ধা দল এবং এরপরে মহিলা দল দল ও ছাত্র দল। কৃষক দল ‘সুবজ রঙ’ এবং যুব দলের ‘লাল রঙ’ এর টুপি পড়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। র্যালিতে ছোট ছোট ট্রাক খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান, তারেক রহমানের বড় বড় প্রতিকৃতি দিয়ে সাজিয়ে জিয়াউর রহমানের চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধে উজ্জীবনী বিভিন্ন দেশাত্মকবোধক গান বাজাতে দেখা গেছে। নয়াপল্টনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর মোড় ঘুরে আবার নয়াপল্টনে এসে র্যালি শেষ হয়। এই র্যালি যখন শুরু হয়ে শান্তিনগরের মোড় পুনরায় নাইটিঙ্গেল মোড়ে এসে পৌঁছায় তখনও শেষের অংশ নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয় অতিক্রম করেনি।
র্যালি শুরুর আগে বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই র্যালি বাংলাদেশের জনগণের নতুন করে জেগে উঠার, সংগ্রাম করা শুরু করার, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার র্যালি। আসুন- আজকের এই র্যালির মধ্য দিয়ে আমরা সেই শুভ সূচনা করি, যে সূচনার মধ্য দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারব, তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারবো। একই সাথে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যিনি ১৯৭১ সালে শিশু মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তাকে নির্বাসিত জীবন থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে নেতৃত্বে বসাতে পারি এবং আমাদের ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা রয়েছে তাকে প্রত্যাহার করিয়ে দেশে গণতন্ত্রকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারব, সত্যিকার অর্থেই আমরা আমাদের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারবো।
বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম মহিলা মুক্তিযোদ্ধা, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন।
এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় বিএনপির মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ফজলুল হক মিলন, বিলকিস জাহান শিরিন, সৈয়দে এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলালম, মীর সরফত আলী সপু, ডা. রফিকুল ইসলাম, শামীমুর রহমান শামীম, আবদুস সালাম আজাদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, আবদুল খালেক, মুনির হোসেন, আমিরুল ইসলাম আলিম, আমিরুজ্জামান শিমুল, আকরামুল হাসান, অঙ্গসংগঠনের রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, সাদেক আহমেদ খান, সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, গোলাম সরোয়ার, আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, আনোয়ার হোসেইন, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, হেলাল খান, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবদুল কালাম আজাদ, ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. আবদুস সালাম, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, আমিনুর রহমান আমিন, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সাজিদ হাসান বাবু, ওমর ফারুক কাওছার প্রমূখ নেতারা বিভিন্ন মিছিলে নেতৃত্ব দেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- শহীদুল্লাহ ইমরান, মামুন বিন আব্দুল মান্নান, দারুসসালাম থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এসএ সিদ্দিক সাজু, মাসুদ খান, শামীম পারভেজ, হুমায়ূন কবির রওশন, গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজ, সাইদুল ইসলাম সাইদুল, হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, আরিফ মৃধা, মেজবাহ উদ্দিন জনি, শহীদুর রহমান এনা, বাবুল মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, মো. লিটন ভূঁইয়া, মো. মোস্তফা ব্যাপারী, গাজী জহিরুল ইসলাম সবুজ, আইয়ুব আলী, আশরাফুল ইসলাম মামুন, আমিনুর রহমান শান্ত, তরিকুল ইসলাম রানা প্রমুখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।