বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কয়া আবাসন ২ এর বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল রোববার সকালে কয়া আবাসন থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত স্বামী-স্ত্রী কয়া ইউনিয়নের আবাসন ২ এর জামাল শেখের ছেলে সুমন শেখ ও তার স্ত্রী সোনিয়া খাতুন সনি।
আবাসনের সভাপতি আজিবর রহমান জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুমনের বাবা তাকে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করলে তিনি দোকান বন্ধ করে সুমনের বাড়িতে এসে দেখেন সুমনের স্ত্রীর হাতের আঙ্গুলে কারেন্টের তার পেঁচানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে এবং সুমনের নিথর দেহ বারান্দায় শুইয়ে রাখা হয়েছে। এসময় সুমনকে সেবা শুশ্রূষা করে কোন লাভ হয়নি। কিছু সময়ের মধ্যে স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার এসে দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে কুমারখালী থানায় খবর দিলে সকালে পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যান।
সুমনের বাবা জামাল শেখ জানান, তিনি তার ছেলের ঘরের ভিতর থেকে তাদের ২ বছরের বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনে বাইরে থেকে দরজা করাঘাত করে খুলতে না পারলে স্থানীয়দের সাথে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ছেলের বউকে কারেন্টের তার আঙ্গুলে পেঁচানো অবস্থায় মৃত দেখতে পান এবং ঘরের আড়ার সাথে ছেলের ঝুলন্ত দেহ তারা নামিয়ে আবাসনের সভাপতিকে খবর দেন। পরে গ্রাম্য ডাক্তার এসে তার ছেলে ও ছেলের বউকে মৃত বলে জানান ।
এ বিষয়ে সুমনের স্ত্রী সোনিয়ার বাবা খোকসার হেলালপুরের লিটন হোসেন জানান, আইসক্রিম বিক্রেতা সুমনের সাথে তার মেয়ের ৪ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের ২ বছরের একটি ছেলে আছে। তার জামাই ও মেয়ের মধ্যে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিলো। কেন আত্মহত্যা করলো এটা বোঝা যাচ্ছে না। তবে বাড়ির আশেপাশের লোকজন তাকে জানিয়েছে তার মেয়ে বৈদ্যুতিক শট লেগে মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান,আপাতদৃষ্টিতে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে লাশ ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।