Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চারলেন সড়ক না থাকা লজ্জাজনক শরীয়তপুরে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী

শরীয়তপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

‘আমরা যখন পদ্মা সেতুর সড়কে চলি তখন তীর চিহ্ন দিয়ে দেখানো হয়েছে ভাঙ্গা, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, গোপালগঞ্জ এই দিকে। পদ্মা সেতুর দক্ষিণ পাড়ের টোল প্লাজা শরীয়তপুরের জাজিরা অংশে পড়লেও একবারের জন্য দেখানো হয় নাই শরীয়তপুর কোন দিকে। তাছাড়া পদ্মা সেতুর সড়ক থেকে শরীয়তপুরের আসার জন্য কোন সড়কও রাখা হয় নাই। জেলায় এখনও কোন চার লেনের রাস্তা নাই। আমার নির্বাচনী এলাকার একটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে ছেলে মেয়েরা যেমন খুশি তেমন সাজে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল। অনেক প্রতিযোগির দিকে তাকিয়ে দেখি কারো হাত, পা ও কোমর ভাঙ্গা। এই বিষয়ে প্রতিযোগিদের কাছে জানতে চাইতে তারা জানায় সড়কের যে বেহাল দশা সেখানে চলতে গিয়ে তাদের এই অবস্থা। আমাদের জেলায় কোন চার লেনের সড়ক না থাকাও আমাদের জন্য লজ্জাজনক।’
জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় গতকাল রোববার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম।
এ সময় তিনি আরো বলেন, শরীয়তপুরে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ের কাজ দ্রæত শুরু হবে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের শেষ সময়ের দিকে মেঘনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারব। এই সময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, জেলা লেভেলের অনেক কর্মকর্তা রয়েছেন তাদের ফোন করলে জিজ্ঞেস করেন কে? অনেক কর্মকর্তা ফোনও রিসিভ করেন না। তাদের মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে রাখলে তা দেখেন কিন্তু কোন জবাব দেন না। গণপূর্ত বিভাগকে আঙ্গুল দেখিয়ে তিনি বলেন, দেশের ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে দুঃখের বিষয় এর মধ্যে আমার এলাকার একটিও নাই।
এই সময় সড়কের বেহাল দশার বর্ণনা দিতে গিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু জানান, একটা প্রকল্প একনেক থেকে পাশ হওয়ার পরে তার পরিবর্তন আনা খুব কষ্টের। সেখানে পরিবর্তন করে ৫০ কোটি টাকার কাজ আনার জন্য আমাকে ৫০ বার মন্ত্রণালয়ে যেতে হয়েছে। সেই সড়কে কাজ শেষ হওয়ার ৩ মাসের মধ্যেই ভাঙন ধরেছে। সড়কের পাশে যে ভাবে মাটি দেয়ার কথা ছিল তা না দিয়েই ঠিকাদার বিল তুলে নিয়েছে।
যেহেতু ছাত্রলীগ, যুবলীগ কাজের সময় কোন ডিস্টার্ব করে না। এমপিদেরও কোন পার্সেন্টিস দিতে হয় না। তাহলে সড়কের অবস্থা এমন হবে কেন। জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. শামীম হোসেন, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, সিভিল সার্জন ডা. এসএম মুরাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) মো. মিজানুর রহমানসহ সকল দপ্তরের প্রধানগণ, সকল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, সকল পৌরসভার মেয়রগণ, সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ