Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুন্দরগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ ৪ জাপা ২ জনসহ জামানত হারালেন ৪৭ প্রার্থী

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:২৭ পিএম

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জামানত হারিয়েছেন ৪৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র ৩৯ জন, আ’লীগের ৪, জাতীয় পার্টির ২ জন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল-জাসদের একজন করে রয়েছেন। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় ধাপে সুন্দরগঞ্জের ১৩ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ করা হয় গত ২৮ নভেম্বর। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯৯ প্রার্থী লড়াই করেন। এরমধ্যে ২ ইউনিয়নের ২ টি ভোট কেন্দ্রের ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই হওয়ায় ওই ২ কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করায় ১১ ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলে ১১ ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন ৪৮ জন।বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম জাবেদ (ঘোড়া), স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মতিন সরকার (চশমা) ও সহিদুর রহমান (অটোরিক্সা)। জামানত হারিয়েছেন সোনারায় ইউনিয়নে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী রনজিৎ কুমার সরকার (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচএম মতিয়ার পারভেজ (মোটর সাইকেল) ও আব্দুর রাজ্জাক (আনারস)। তারাপুর ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন ৩ জন। এরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল আলা মওদুদী সরকার (আনারস), নুরুজ্জামান সরকার (চশমা) ও শাহজাহান কিবরিয়া (অটোরিক্সা)। বেলকা ইউনিয়নে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (আনারস) ও দহবন্দ ইউনিয়নে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী আরাফাত উল ইসলাম (আনারস) জামানত হারান। সর্বানন্দ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেন ৯ জন। এরমধ্যে জামানত হারান ৫ জন। এরা হলেন জাপার মশিউর রহমান সরদার (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম নুরুন্নবী (আনারস), আজাদুল ইসলাম আজাদ (টেলিফোন), রাশেদুল ইসলাম (অটোরিক্সা) ও শাহজাহান মিয়া (ঘোড়া)। রামজীবন ইউনিয়নে জামানত হারান ৭ জন। এরা হলেন আ’লীগের সাদেকুল ইসলাম সরকার (নৌকা), জাপার এটিএম এনামুল হক মন্টু (লাঙ্গল), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবু বক্কর ছিদ্দিক (গামছা), স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী (দুটি পাতা), জিয়াউল হক (অটোরিক্সা), সোলায়মান হোসেন (মোটর সাইকেল) ও হাবিজার রহমান (ঘোড়া)। ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী খান মোহাম্মদ আলী (আনারস), আমিনুল ইসলাম আকন্দ (টেবিল ফ্যান) ও আ’লীগের বিদ্রোহী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সুজা (মোটর সাইকেল)। ছাপড়হাটী ইউনিয়নে জামানত হারান জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল-জাসদের মামুন উর রশীদ প্রামানিক রুবেল (মশাল), স্বতন্ত্র প্রার্থী জোৎস্না বেগম জনতা (আনারস), আসাদুজ্জামান (দুটি পাতা), তারা মিয়া (ঘোড়া) ও শরিফুল ইসলাম (রজনীগন্ধা)। উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নে সর্বোচ্চ চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিল ১৩ জন। এরমধ্যে জামানত হারান ১১ জন। এরা হলেন আ’লীগের বিপ্লব খন্দকার (নৌকা), বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছামিউল ইসলাম (দোয়াত কলম), স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম জাহিদুল করিম (রজনীগন্ধা), একেএম মোস্তফা কামাল (আনারস), এমএ ছোলায়মান সরকার (ঢোল), আব্দুর রশীদ (টেবিল ফ্যান), আব্দুল মজিদ মিয়া (অটোরিক্সা), আব্দুল মান্নান সরকার মান্নান (ঘোড়া), বদরুল আমিন (চশমা), মিজানুর রহমান (টেলিফোন) ও সাইফুল ইসলাম (মোটর সাইকেল)। কাপাসিয়া ইউনিয়নে আ’লীগের প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আজম সরকার (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহিম সরকার (আনারস), জলিল সরকার (মোটর সাইকেল), জামাল উদ্দিন (অটোরিক্সা) ও বাদশা মিয়া (ঢোল)। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেকান্দার আলী জানান, ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমাদানকালে প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে পাঁচ হাজার টাকা করে জামানত দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে হলে ওই ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রগুলোতে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পেতে হয়। হিসাব অনুযায়ি ১১ ইউনিয়নের ৪৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী সেই পরিমাণ ভোট না পাওয়ায় তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ