রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জেলা খাগড়াছড়িতে বেশি মুনাফা হওয়ায় পাহাড়ি পান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে প্রান্তিক চাষিরা। জেলার দীঘিনালা ও পানছড়ির মাইনী ও চেঙ্গী নদীর অববাহিকায় সমতল ভ‚মিতে বাড়ছে পানের চাষ। পানের গুণগত মান ভালো হওয়ায় স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে পাইকারদের মাধ্যমে এসব মিষ্টি পান জেলার বাইরেও যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে ভালো ফলনে হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে।
জেলার দীঘিনালার তেভাংছড়া, নৌকাছড়া এবং পানছড়ির চেঙ্গী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গ্রামজুড়ে অর্থনীতির হাতছানি দিচ্ছে সারি সারি ‘পানের বরজ’। স্থানীয় বেশিরভাগ মানুষই পান চাষের সাথে জড়িত। চাষিরা বিক্রির জন্য পানের বিড়া সাজাচ্ছেন। তবে কৃষি বিভাগ থেকে কোনো সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে কৃষকদের। কৃষি বিভাগের কোনো কর্মকর্তা মাঠ পরিদর্শক বা পরিদর্শনেও আসেন না। কর্মকর্তাদের সহযোগিতার অভাবে রোগবালাইয়ের প্রতিকার পাচ্ছেন না চাষিরা। এতে কখনো কখনো লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।
চাষিরা জানান, বিশ শতক জমিতে পান চাষে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ হয়। একটি সুস্থ পান গাছ থেকে ৮০-১৪০টি পর্যন্ত পান পাওয়া যায়। মানভেদে প্রতি বিড়া পান ১০০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো ফলন এবং বাজারে দাম থাকলে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হবে। পানচাষি সমন্ত চাকমা জানান, এখানকার পান বিক্রি করার জন্য বাজারে নিতে হয় না। গ্রামে এসেই বেপারিরা কিনে নিয়ে যায়। সাপ্তাহিক হাটের দিন পান তোলার রীতি থাকলেও পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনই পান নিয়ে যাচ্ছে। পৌষ মাস পর্যন্ত এ পান সংগ্রহ চলবে।
নৌকাছড়ার মিলন চাকমা জানান, সার, জৈব সার, কীটনাশক না দিলে পানের বরজ নানা রোগে আক্রান্ত হয়। তাই পান চাষের সম্প্রসারণে সরকারি সহযোগিতা দাবি করেন তিনি।
পানের পাইকারি ব্যবসায়ী সুমন দে জানান, সমতলের বিভিন্ন জেলায় পাহাড়ের মিষ্টি পানের ব্যাপক কদর রয়েছে। ফলে মহেশখালী ও বাঁশখালীর পানের উপর নির্ভরতা অনেকাংশে কমেছে। খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মর্ত্তুজ আলী জানান, পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া পান চাষের উপযোগী। পানের পাতায় মড়কের কারণে চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। সঠিক পরিচর্যা করলে কৃষক বেশি লাভবান হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।