পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়িতে যানজট অচলদশা
বন্দরনগরীর ব্যস্ততম দেওয়ানহাট মোড়ে গ্যাস লাইন সরাতে চলছে খোঁড়াখুড়ি। মোড়ের মাঝখানে গভীর গর্ত। সেই গর্তকে ঘিরে রাস্তায় মাটির স্তুপ। এতে সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে সড়ক। মাটি ঠেলে যানবাহন চলছে সরু অংশ হয়ে। ফলে তীব্র যানজট ওই মোড়কে ঘিরে আশপাশের সবকটি সড়কে।
এর প্রভাবে নগরীর প্রধান সড়কের দেওয়ানহাট থেকে আগ্রাবাদ বারিক বিল্ডিং মোড় হয়ে ইপিজেড পর্যন্ত যানজট স্থায়ী হয়ে গেছে। একই অবস্থা দেওয়ানহাট মোড় থেকে ডিটি রোড হয়ে পাহাড়তলী এবং দেওয়ানহাট হয়ে কদমতলী পর্যন্ত এলাকায়। পাঁচ মিনিটের সড়ক পার হতে সময় লাগছে এক ঘণ্টার বেশি। এতে চরম দুর্ভোগে নগরবাসী। ট্রাফিক বিভাগের হিসাবে এসব সড়ক হয়ে দিনে ছোট বড় ৫৫ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে তিন বছর আগে। আর এখন পিলার স্থাপনের জন্য সরানো হচ্ছে মাটির নীচের গ্যাস লাইন। এরপর সরানো হবে ওয়াসার লাইন। এ কারণে দুর্ভোগ দীর্ঘায়িত হবে। সড়কে একই সাথে পাইলিং এবং সার্ভিস লাইন সরানোর কাজ চলছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির পাইপ লাইন না সরিয়েই কাজ শুরুর ফলে এমন বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আর তাতে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
তিন হাজার ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ। এ মেগা প্রকল্পের শুরু থেকে কাজে ধীরগতি, সমন্বয়হীনতা, বারে বারে নকশা বদল করা হচ্ছে। তাতে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। দেশের দ্বিতীয় এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যুক্ত হবে দেশের প্রথম টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের সঙ্গে। একই সাথে এটি সিটি আউটার রিং রোড হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে সংযোগ ঘটাবে। নগরীকে যানজটমুক্ত করতে নেয়া এই মেগা প্রকল্পটি এখন নগরীতে যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অসহনীয় এই দুর্ভোগে শেষ কবে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না।
প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগে। মেয়াদ আরো একবছর বাড়িয়ে আগামী জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে কাজের যে গতি তাতে ওই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যদিও প্রকল্পের পরিচালক সিডিএর প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান আশাবাদি আগামী জুনে কাজ শেষ হবে। তবে কাজের ধীরগতি এবং সড়কের বেহাল অবস্থায় নগরীতে অচলদশা চলছে।
যানবাহনের চাপ কমাতে কাজ শেষ হওয়ার আগেই সিটি আউটার রিং রোড খুলে দেওয়া হয়েছে। তাতে যানজট কমেনি। প্রায় ছয় বছর আগে শুরু হয় পোর্ট কানেকটিং রোডের সম্প্রসারণ কাজ। জাইকার সহযোগিতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সড়কটির সম্প্রসারণ কাজ করছে। এখনও কাজ শেষ হয়নি। একই অবস্থা মাঝিরঘাট সড়কের। প্রধান সড়কের যানজট এসব সড়কেও বিস্তৃত হচ্ছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার স্থাপনের কাজের মধ্যেই গ্যাস ও পানি ও বিদ্যুতের লাইন সরানোর কাজ করায় সড়কের অবস্থা আরো বেহাল হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দেখা যায় দেওয়ানহাট মোড়ের গর্ত এখনও আগের মতো। সেখানে কাজ শেষ হওয়ার আগেই মিঠাগলিতে পাইপ লাইন সরাতে খোঁড়াখুড়ি শুরু হয়েছে। সড়কের মাঝখানে পাইলিং আর পাশে লাইন সরাতে খোঁড়াখুড়িতে পুরো সড়ক একেবারে সরু হয়ে গেছে। ফলে যানবাহন আটকে তীব্র যানজট হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, নগরীর ব্যস্ততম একটি মোড়ে খোঁড়াখুড়ি চলছে প্রায় ২০ দিন ধরে। এক অংশের কাজ শেষ না হতে আরো একটি অংশে খোঁড়া হচ্ছে। পাইপ লাইন সরানোর কাজও চলছে সম্ভুক গতিতে।
নগরীর বারিক বিল্ডিং থেকে ফকিরহাট অংশেও পাইলিংয়ের সাথে চলছে পাশের ভবন ভেঙ্গে সড়ক সম্প্রসারণ। সেখানে বিদ্যুতের পিলার সরানোর কাজও চলছে। এক সাথে সড়কের দুই পাশে খোঁড়াখুুড়িতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নগরীর পতেঙ্গা থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডার বসানো হয়েছে। সিমেন্ট ক্রসিং থেকে ইপিজেড হয়ে সল্টগোলা ক্রসিং এবং বারিক বিল্ডিং হয়ে আগ্রাবাদ থেকে দেওয়ানহাট মোড়ের অদূরে ফায়ার সার্ভিস অফিস পর্যন্ত পিলারের কাজও শেষ হয়েছে।
পাইলিং শেষ হলেও সড়কটি এখনও যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হয়নি। পতেঙ্গা থেকে দেওয়ানহাট পর্যন্ত কিছু অংশ ছাড়া পুরো সড়কের পুরোটা খানাখন্দে ভরা। বারিক বিল্ডিং, ইপিজেড থানার সামনে ও বন্দরটিলা এলাকায় সড়কে কাদা পানি। নালা-নর্দমা একাকার হয়ে পানি উপচে পড়ছে। খানা-খন্দকে ভরা এলাকায় গর্তে আটকা পড়ছে যানবাহনের চাকা। তাতে ছোটখাট দুর্ঘটনার সাথে তীব্র জট অব্যাহত আছে। যানজটে দুর্ভোগ বাড়ছে যাত্রীদের।সড়ক সংস্কার করতে সিডিএকে চিঠি দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন ও নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। সিডিএর পক্ষ থেকে সংস্কারের আশ^াস দেয়া হলেও বাস্তবে এর কোন প্রতিফলন নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।