বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থীকে হেলমেড দিয়ে পিটিয়েছে লোক প্রশাসন বিভাগের জামিল নামক এক ছাত্রলীগকর্মী। বৃহস্পতিবার বিকালে ক্যাম্পাসের মফিজ লেকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগকর্মী শাহজালাল সোহাগের কর্মী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিজয় দিবসে ক্যাম্পাসে চলছে নানা অনুষ্ঠান। রীতিমত ভীড় ঠেলে বন্ধুদের সাথে মফিজ লেক সংলগ্ন রাস্তায় হাঁটছিল মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী তার দুই সহপাঠী। এমন সময় শাখা ছাত্রলীগ নেতা শাহজালাল সোহাগের কর্মী লোক প্রশাসন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী জামিল প্রচন্ড স্পিডে ওই রাস্তা দিয়ে বাইক চালাচ্ছিল। বাইক ওই শিক্ষার্থী ও তার বন্ধুদের অতিক্রম করার সময় তারা জামিলকে ডেকে এত জোরে বাইক চালাচ্ছে কেন তা জানতে চায়। এসময় জামিল তাতে কি হয়েছে বলে তেড়ে আসে। ওইসময় প্রশ্নকারী সিনিয়র জামিলের পরিচয় জানতে চাইলে জামিল বলে আমাকে ক্যাম্পাসে সবাই চিনে, তুই চিনিস না কেন? এ কথার পরবর্তীতে জামিল ও তার বন্ধুরা মিলে ওই সিনিয়রকে হেলমেড দিয়ে পেটাতে থাকে। ওইসময় ওই শিক্ষার্থী নিজেকে একজন মাস্টার্স পড়ুয়া ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন মজুমদারের সহপাঠী দাবি করলে তারা তাকে লেকের ধারের বাঁশ নিয়ে মারতে উদ্যোত হয়। আশেপাশে থাকা শিক্ষার্থীরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করলেও জামিল বলে তোকে দরকার হলে হোসাইন মজুমদারের সামনে পেটাবো।
এর আগেও কয়েকজন সিনিয়রকে জুনিয়ররা পিটিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ছাত্রলীগ নেতাদের খুব কাছের ছোট ভাই পরিচয়ে তাদের কোন বিচার হয়নি। বিষয়গুলো নিয়ে এখন সিনিয়রদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এমনকি ছাত্রলীগের অনেক সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, এখন কিছু জুনিয়র পোলাপানদের জন্য রাজনীতি করার অবস্থা নেই। এরা এমনভাবে কথা বলে যেন এরাই সভাপতি সেক্রেটারি। যতদিন আছি মানসম্মান নিয়ে বিদায় নিতে চাই এজন্য কিছু বলি না। তবে এ ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার। আমরাও ছাত্রলীগ করি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, “কিছুদিন আগেও এক সিনিয়রকে জুনিয়ররা পিটিয়েছে। তবে কোন বিচার হয়নি।”
বিষয়টি জানতে চাইলে জামিল বলেন, “একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আমি একটা কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এজন্য জোরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলাম। ওই ভাই আমাকে থামিয়ে জোরে চালাচ্ছও কেন জানতে চায়। এসময় আমাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে আমার সাথে থাকা ছেলেরা তাদেরকে ধরে মারছে এবং তারাও আমাদের দুই একজনকে মারছে।
তবে হোসাইন ভাইয়ের পরিচয় দিলে আমরা তাদের আর গায়ে হাত দেয়নি। আরও তাকে পাশে ডেকে বিষয়টি মিউচুয়ালের চেষ্টা করেছি।”
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা শাহজালাল সোহাগ বলেন, আমি বিষটি শুনেছি। জামিল ওই সিনিয়রদের গায়ে হাত দিয়ে মোটেই ভালো কাজ করেনি। আমি মার্কেটিং এর ওই ছেলেকে ডাকতে বলেছি। ওই ছেলের কাছে ওকে অবশ্যই মাফ চাইতে হবে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।