বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মুন্সিগঞ্জ সদরের মহাকালী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্র ও তার অভিভাবকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে পণ্ড হয়ে যায় ওই বিদ্যালয়ের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন-বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলাম উদ্দিন (৪০), শিক্ষক মইন উদ্দিন মোহন, দপ্তরি আব্দুল আজিজ ও অফিস সহকারী সালাহ উদ্দিন দেওয়ান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক আলাম উদ্দিন মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে দশম শ্রেণির এক ছাত্র, তার ভাই শুভ বেপারী (৩০), শ্যামল বেপারী (২৬), বাবা ফারদুল্লাহ বেপারী (৫৫) ও মা ফারজানা আক্তারকে (৪৫) অভিযুক্ত করা হয়েছে।
থানায় করা অভিযোগ ও প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, মহাকালি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলাম উদ্দিনকে প্রায় সময়ই নানা ধরনের কটূ কথা বলে তিরস্কার করে আসছিল বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই ছাত্র। বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষক আলাম বিদ্যালয়ের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিলে ওই ছাত্র তাকে ফের হেয়প্রতিপন্ন করে নানা রকম কটূ কথা বলে। এর প্রতিবাদ করলে সে শিক্ষক আলামকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় ও বাড়িতে গিয়ে ভাই-বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে আসে।
পরে বাড়ির লোকজন বিদ্যালয়ে এসে ওই শিক্ষকের ওপর হামলা করেন। এসময় তাকে বাচাঁতে অপর শিক্ষক, দপ্তরি ও অফিস সহকারী এগিয়ে এলে তাদেরও কিল, ঘুষি ও মারধর করেন হামলাকারীরা। একপর্যায় দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি হলে পণ্ড হয়ে যায় বিদ্যালয়ের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান। পরে আহত শিক্ষক আনামকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ও বাকি আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষক আলাম উদ্দিন বলেন, যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না বিদ্যালয়ে তাদের বিনাবেতনে পড়ানো হয়। ওই ছাত্রকেও বিনাবেতনে পড়ালেখার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অথচ সেই আমাদের ওপর হামলা করে মারধর করলো। আমি থানায় অভিযোগ করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ছাত্রের ভাই শুভ বেপারী বলেন, ‘আমার ভাইকে মেরে নাক দিয়ে রক্ত বের করে ফেলেছিল ওই শিক্ষক। পরে আমার বাবা-মা গিয়েছিল। পরে মারামারি হইছে। তারাও আমাদের মারছে। আমরাও থানায় অভিযোগ করেছি।’ এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমি সারাদিন বাইরে ছিলাম। অভিযোগের বিষয়টি জানি না। তবে অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।