বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা নিয়ে আ’লীগের দুই গ্রæপের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা চত্ত¡রের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণের সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে সকল দলীয় কর্মসূচি বর্জন করে উপজেলা আ’লীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এসময় উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়।
দলীয় একাধিক সূত্র ও প্রত্য¶দর্শীরা জানায়, ১৬ ডিসেম্বর সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য উপজেলা আ’লীগ ও পৌর আ’লীগের নাম ঘোষনা করে উপজেলা প্রশাসন। এসময় সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান গ্রæপের কমিটি এবং জেলা আ’লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা গ্রæপের কমিটি একই সময় শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গেলে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে জেলা আ’লীগের সভাপতি গ্রæপের নেতাকর্মীরা দলীয় সকল কর্মসূচি বর্জনের ঘোষনা দিয়ে অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করে চলে যায়। এসময় শহীদ মিনারে দুই গ্রæপের নেতা-কর্মীদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
এবিষয়ে শাহাবুদ্দিন মোল্লা গ্রæপের রাজৈর উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন খান বলেন, ‘প্রশাসনের বিতর্কিত ভূমিকার কারনে পুষ্পস্তবক অর্পণে বিশৃক্সখলা সৃষ্টি হয়েছে। পাল্টা গ্রæপের নেতা-কর্মীরা কৌশলে বেড়িকেড সৃষ্টি করে পুষ্পস্তবক অর্পণে বিঘœ ঘটিয়েছে। এনিয়ে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। যা দীর্ঘ ৫০ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি। ফলে গোলমাল এড়াতে আমরা অনুষ্ঠান বর্জন করে চলে এসেছি।’
অন্যদিকে শাজাহান খান গ্রæপের রাজৈর পৌরসভা আ’লীগের সভাপতি শেখ সাগর আহমেদ উজির বলেন, ‘আমরা শহীদ মিনারের সামনে আগে উঠেছি এবং শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় ওই কমিটির সভাপতি গোপা শারমিন আমাদের সামনে ফুল নিয়ে এসে দাড়িয়ে বাধা সৃষ্টি করেছে। এনিয়ে কিছুটা গন্ডগোল হয়েছে। এছাড়া আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা ও বানোয়াট।।’
তবে এব্যাপারে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিচুজ্জামান সাংবাদিকদের কোন কথার উত্তর দেয়নি। তবে বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান। এদিকে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সাদিক বলেন, ‘তেমন বড় কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে ফুল দেয়া নিয়ে কিছুটা তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। এটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।