বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের সেনাসদস্য সাইফুল ইসলাম সাইফ হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদন্ড বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় তিনজন আসামি পলাতক ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোঃ আহাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রায় ঘোষনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাইফুলের পিতা হাফিজ উদ্দীন হাবু ও মা বুলবুলি খাতুন। তারা দ্রুত এই রায় কার্যকরের দাবী জানান। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের ফারুক হোসেন ওরফে ফারুনের ছেলে আকিমুল ইসলাম, একই উপজেলার বোড়াই গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মিজানুর রহমান, আসাননগর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে ফারুক হোসেন, একই গ্রামের নবীছদ্দিনের ছেলে আব্বাস উদ্দীন, আবুল কাসেম, বংকিরা গ্রামের ইয়াকুব্বার ওরফে ব্যাকার ছেলে মতিয়ার রহমান ফনে (পলাতক), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভুলটিয়া গ্রামের সবোদ আলীর ছেলে ডালিম (পলাতক) ও সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের মোক্তার (পলাতক)। রায় ঘোষনার আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতের হাজত খানায় নেওয়া হয়। গত ১২ নভেম্বর আদালতে যুক্তিতর্ক শেষ হয়। মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ১৮ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহের বংকিরা পশ্চিমপাড়া এলাকার হাফিজ উদ্দীনের দুই ছেলে সাইফুল ইসলাম সাইফ (সেনাসদস্য) ও মনিরুল ইসলাম (নৌ সদস্য) মটরসাইকেলযোগে স্থানীয় বদরগঞ্জ বাজার থেকে ঈদের রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা হাওনঘানা নামক স্থানে পৌঁছালে রাস্তার ওপর গাছ ফেলে ডাকাতরা ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। তারা মোটরসাইকেল থেকে নেমে চিৎকার করলে ডাকাত দলের একজন সেনা সদস্য সাইফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরদিন নিহতের পিতা হাফিজুর রহমান হাবু অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম উল্লেখ করে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেন। মামলাটির তদন্তে নেমে পুলিশ আটজন আসামির সম্পৃক্ততার খবর জানতে পারে। এদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ মামলায় বংকিরা গ্রামের মোঃ আকিমুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হলে তিনি জড়িতদের নাম প্রকাশ করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে। ২০১৯ সালের ৩০ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদাহ থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মহসীন হোসেন ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ২০ জন সাক্ষির সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিত্বে বিজ্ঞ বিচারক বুধবার এই রায় ঘোষনা করেন। নিহত হওয়ার সময় সেনাসদস্য সাইফুল ইসলাম সাইফ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সেনানিবাসের মেডিকেল কোরের ল্যান্স কর্পোরাল হিসেবে চাকরিরত ছিলেন। এদিকে এ হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভুলটিয়া গ্রামের সবোদ আলীর ছেলে ডালিম পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছেন বলে গ্রামবাসি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।