পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ইস্যুটি খুব দুঃখজনক মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন এবং আমরা আলাপ-আলোচনা করে এটির উত্তর দেবো। এমনি হুট করে উত্তর দেওয়া ঠিক হবে না।
গতকাল ভারতের প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্দের ঢাকা সফর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো বিশ্বাস করি এটি কোনও প্রভাব ফেলবে না। উল্লেখ্য, কেবিনেট সচিব গত সোমবার জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী এ বিষয়টি দেখবেন। আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু লোকের প্ররোচনায় হয়, কিছু সংস্থা এবং এনজিও’র মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কোনও ধরনের আলোচনা ছাড়া এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনা করবো। আমেরিকার সব সিদ্ধান্ত সঠিক এমন নয় এবং এর ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা আলোচনা করবো এবং আশা করি, ওই দেশে পরিপক্ক লোকজন আছেন, জ্ঞানী লোকজন আছেন এবং তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে।
তিনি বলেন, মার্কিন তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর তাদের পুলিশ হাজারখানেক লোক মেরে ফেলে, গুলি করে মেরে ফেলে। অর্থাৎ আইনবহির্ভূত হত্যা এবং আমাদের কালেভদ্রে এক-দুই জন মারা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ছয় লাখ লোক নিখোঁজ হয় এবং মার্কিন প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে ১০ বছরে ৬০০ লোক নিখোঁজ হয়েছে। কোথায় ছয় লাখ আর কোথায় ছয়শ।
আব্দুল মোমেন বলেন, আমেরিকায় যে এত লোকজন মারা যায়, এজন্য তাদের সংবাদমাধ্যম খুব বেশি মাথা ঘামায় না। কারণ তারা মনে করে, পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাদের লাইন অব ডিউটিতে কাজ করেছে। আমেরিকায় যে ছয় লাখ লোক নিখোঁজ হয়, বা অন্যরা মারা যায়, তার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষের কারও শাস্তি হয়েছে বলে আমি কোনোদিন শুনিনি। মন্ত্রী বলেন, যে সংস্থাটির ওপরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে বৈশ্বিক নীতি, অর্থাৎ সন্ত্রাসবাদ দমন সেটিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। শুধু সন্ত্রাসবাদ নয়, মাদক চোরাচালান, সেটিও যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটা বড় ইস্যু। সেটিতেও তারা মার্কিনিদের সহায়তা করছে। র্যাব দুর্নীতিপরায়ণ নয় এবং টাকা পয়সা দিয়ে তাদের ব্যবহার করা যায় না। এর ফলে তারা বাংলাদেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।