পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাধারণ অন্তঃসত্ত্বা নারীর তুলনায় করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা নারীরা মাতৃত্বকালীন জটিলতা তৈরির ক্ষেত্রে ৮ গুণ বেশি ঝুঁকিতে থাকেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা যায়, করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বাদের ৪৬ শতাংশের মাতৃত্বজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে। গতকাল এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্ল্যানিং, মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চ অপারেশনাল প্ল্যানের সহযোগিতায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনের (নিপসম) এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
রাজধানীর ৫টি হাসপাতালের ৮৯০ জন অন্তঃসত্ত্বার ওপর গত বছর এপ্রিল থেকে এ বছর এপ্রিল পর্যন্ত এই জরিপ চালানো হয়। তাদের মধ্যে কোভিড নেগেটিভ ছিলেন ৬৭৫ জন, পজেটিভ ছিলেন ২১৫ জন।
এ গবেষণা প্রসঙ্গে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সাবেক সভাপতি প্রফেসর ডা. সামিনা চৌধুরী বলেন, গবেষণার ফলাফল থেকে দেখা যায় যে, করোনাভাইরাসের সঙ্গে মাতৃত্বজনিত সমস্যার বিকাশের একটি যোগসূত্র আছে। সুতরাং, অন্তঃসত্ত্বারা করোনা আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসার বিষয়ে আমাদের আরো সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সমস্যাগুলোর মধ্যে দেখা গেছে, প্রিটার্ম ডেলিভারি অর্থাৎ ৩৭ সপ্তাহের আগে সন্তান প্রসব হয়েছে ৭৮ দশমিক ৭৯ শতাংশের, মায়ের গর্ভে সন্তানের মৃত্যু হয়েছে ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ, অন্যত্র গর্ভধারণ হয়েছে ৪ দশমিক ০৪ শতাংশের।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, করোনা আক্রান্ত নারীর আগে থেকে স্বাস্থ্যগত জটিলতা থাকলে করোনা আক্রান্ত নন এমন অন্তঃসত্ত্বার তুলনায় তাদের মাতৃত্ব বিকাশে ঝুঁকি বেশি।
জরিপে অংশগ্রহণকারী অন্তঃসত্ত্বাদের মধ্যে যাদের আগে থেকে স্বাস্থ্যগত জটিলতা ছিল তাদের ৬২ দশমিক ৮ শতাংশের প্রতিকূল ফলাফল দেখা গেছে। তবে যাদের করোনা হয়নি এমন মাত্র ৭ দশমিক ৪ শতাংশ অন্তঃসত্ত্বার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।