রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে নাসিম হোসেন (১৭) নামের এক কলেজছাত্র নিহতের ঘটনায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী রবিউল হক টুটুলসহ তিনজনকে আটক করেছে পাবনা পুলিশ। গত সোমবার রাত ৮টার দিকে তারাবাড়িয়া বাজারের ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক অন্যরা হলেন- সুজানগর পৌর আ.লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ। তবে আরেকজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। আটক ইউপি চেয়ারম্যান টুটুল সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারাবাড়িয়া বাজারে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে নাসিম হোসেন (১৭) নামের এক ছাত্র নিহত হয়।
নিহত নাহিদ হোসেন সদর উপজেলার আটঘরিয়াপাড়া গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে। সে দুবলিয়া হাজি জসিম উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী বলে জানা যায়। আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান দাবি করেন নিহত কলেজছাত্র তার সর্মথক কিন্তু নিহত ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে সে কোনো দলের সমর্থক নয়।
বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সুজানগরের উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন ও চরতারাপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান টুটুলও ঘটনাস্থলে উপস্থিতি ছিলেন বলে জানায়। এ ঘটনায় নৌকার প্রার্থী রবিউল হক টুটুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন কেটে দেন।
পাবনা সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময়ে বাজার করতে আসা নাসিম নামে এক কিশোর মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছিল। পেছন থেকে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।