Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্বশুর-শাশুড়িসহ ৩ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৩ জনের যাবজ্জীবন

মানিকগঞ্জে সুপ্রিয়া সাহা হত্যা মামলা

মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

মানিকগঞ্জের কলেজছাত্রী ও গৃহবধূ সুপ্রিয়া সাহা হত্যা মামলায় ৭ আসামির মধ্যে শ্বশুড়-শাশুড়িসহ তিনজনের মৃত্যুদন্ড ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড হয়েছে। বেকসুর খালাশ পেয়েছেন সুপ্রিয়ার স্বামী দিপাঞ্জন সরকার (২৭)। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামির উপস্থিতিতে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত তিন আসামিরা জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন সুপ্রিয়া সাহার শ^শুড় দিলীপ সরকার (৬০), শাশুড়ি গীতা সরকার (৪৫) ও মানিকগঞ্জ পূর্ব দাশড়া গ্রামের দীলিপ রায়ের ছেলে মহাদেব রায় (২৭)। যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন পূর্বদাশড়া গ্রামের রবীদ্র সাহার ছেলে রঞ্জিত সাহা (২৬), একই গ্রামের অরুণ পালের ছেলে বিষ্ণু পাল (২৬) ও একই গ্রামের রবি ঘোষের ছেলে রঞ্জিত ঘোষ (২৭)।
মামলার বিবরণ ও আদালত সুত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে মানিকগঞ্জ পূর্ব দাশড়া গ্রামের সুকুমার সাহা মেয়ে মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অনার্স (বাংলা) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুপ্রিয়া সাহার সাথে একই গ্রামের দিলীপ সরকারের ছেলে দিপাঞ্জন সরকারের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে ভাড়াটিয়া খুনি দিয়ে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে সুপ্রিয়াকে হত্যা করা হয়। শ^শুড়র বাড়ির লোকজন বিষয়টি ডাকাতি বলে চালিয়ে দেয়া চেষ্টা করেন। ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিয়ার বাবা সুকুমার সাহা বাদি হয়ে সুপ্রিয়ার স্বামী দিপাঞ্জন সরকার, শ^শুড় দিলীপ সরকার ও শাশুড়ি গীতা সরকারকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন মানিকগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মাসুদ মুন্সি। তদন্ত শেষে আলোচিত এই মামলায় আসামি করা হয় আরো ৪ জনকে। ২০১৬ সালে ২৯ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদ মুন্সি সুপ্রিয়া হত্যা মামলায় ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় মোট ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়।
মামলার রায় ঘোষণার পর মামলার বাদি সুপ্রিয়ার বাবা সুকুমার সাহা জানান, তিনি আসামি করেছেন সুপ্রিয়ার স্বামী দিপাঞ্জন, শ্বশুড় দিলীপ সরকার ও শাশুড়ি গীতা সরকারকে। পুলিশ তদন্ত করে আরো ৪ জনের নামে চার্জশিটে দেন। কিন্তু অন্য আসামিদের শাস্তি হলে মুল আসামি দিপাঞ্জন শাস্তি হয়নি। এটা অত্যান্ত কষ্ট কর। এরা জামিন নিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি আব্দুস সালাম ও এপিপি মথুর নাথ সরকার এবং আসামির পক্ষে আব্দুর রহমান, নজরুল ইসলাম বাদশা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ