পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুরান ঢাকার আলু বাজারে চারতলা ভবনে বিস্ফোরণ এবং দেয়াল ধসে পড়ার ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ মোট সাতজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কামাল হোসেন, তার স্ত্রী সেলিনা বেগম এবং তাদের মেয়ে বন্যা দগ্ধরা হয়েছেন। বিস্ফোরণে কাচ ছিটকে আহত হয়েছেন- মারুফ হোসেন, নুসরাত, মালিনা ও আফিফা। গত সোমবার রাত দেড়টার পর ওসমান গণি রোডের ৩৪/১ নম্বর বাড়িতে ‘গ্যাসের লিকেজ থেকে’ এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক বজলুর রশিদ জানান, বিস্ফোরণের পর ওই ভবনের নিচতলায় আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে তাদের নয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। বংশাল থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, ঘটনাস্থল থেকে অগ্নিদগ্ধ কামাল, তার স্ত্রী ও কন্যাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক এসএম আইয়ুব হোসেন জানান, কামালের শরীরের ৪০ শতাংশ, তার স্ত্রী সেলিনার ৬ শতাংশ এবং তাদের মেয়ে বন্যার ৩ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সোমবার গভীর রাতে বিকট বিস্ফোরণের শব্দে তারা বেরিয়ে আসেন। বিস্ফোরণের ধাক্কায় আশপাশের কয়েকটি ভবনের কাচ ভেঙে পড়ে। পাশের ভবনের বাসিন্দা সুজন বলেন, শব্দ শুনে মনে হয়েছিল বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়েছে। রুম থেকে বের হয়ে দেখি আমার ভাতিজা-ভাতিজি মারুফ ও নুসরাত চিৎকার করছে। বিস্ফোরণে গ্লাস এসে ওদের শরীরে লাগে।
ভবন মালিক মো. ইব্রাহিমের ছোট ছেলে সিফাত আহমেদ বলেন, বিস্ফোরণের পর দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চারতলার ভাড়াটিয়ারা ছাদ দিয়ে পাশের ভবনে চলে যান। তিনি জানান, তারা নিজেরা এ বসায় থাকেন না। তারা থাকেন আগামাসি লেনে, এ বাড়ির সব তলাই ভাড়া দেওয়া। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রাফিয়াল ফারুক বলেন, গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে। ভবনের অন্যান্য ফ্লোর ঠিক থাকলেও নিচতলার দেয়াল ধসে পড়েছে। ভবনটি হেলে পড়েনি। তবে সতর্কতা হিসেবে ভবনের অন্য বাসিন্দাদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভবনের পিলার কংক্রিট দিয়ে তৈরি করার কথা থাকলেও ওই ভবনের পিলার ইট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বজলুর রশিদ বলেন, বিস্ফোরণের পর ইটগুলো খসে পড়ে পিলার গুলোর রড বেরিয়ে গেছে। ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।