রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গৃহবধূ রিনা বেগম হত্যার প্রতিবাদে ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ঘাতক স্বামী এয়াকুবের ফাঁসির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় পানকরা হাফেজা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে স্থানীয় সকল শ্রেণী পেশার শত-শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন। নিহত রিনা পানকরা গ্রামের আবু তাহের সওদাগরের মেয়ে। ঘাতক স্বামী এয়াকুব পাশ্ববর্তী ঠোল্লাপাড়া গ্রামের অহিদুর রহমানের ছেলে। গত ৭ ডিসেম্বর দুপুরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আবু তাহের বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করলে গত বুধবার নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ স্বামী এয়াকুবকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পানকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সভাপতি বদিউল আলম রাজু, স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম, সমাজ সেবক মজিবুল হক, সাহাব উদ্দিন, আব্দুর রশিদ, তনু মিয়া, নিহত রিনার পিতা আবু তাহের সওদাগর, মা আকলিমা বেগম, ভাই মহিন উদ্দিন, রহিম উদ্দিন, পেয়ার আহম্মদ, বোন জাহেদা বেগম, মিনারা বেগম, ফুফু মনোয়ারা বেগম, চাচী আনোয়ারা বেগম।
মানববন্ধনে নিহতের বড় ভাই মহিন উদ্দিন বলেন, আমার বোন ঘটনার দিন বিকেল তিনটার দিকে মোবাইল ফোনে কল করে অনেক কান্নাকাটি করে জানায় তার স্বামী এয়াকুব তাকে অনেক মারধর করেছে। এর ১০ মিনিট পরে স্বামী এয়াকুব ফোন করে জানায় আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। আমার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না, তাকে যৌতুকের জন্য মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ঘাতক এয়াকুবের ফাঁসির দাবি করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম বলেন, বিয়ের পর থেকে প্রায় সময় এয়াকুব রিনাকে মারধর করত। আমরা এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক করি। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।