ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবসায়ীক ও স্টুডেন্ট ভিসায় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় আবারও যাতায়াত স্বাভাবিক হয়েছে।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকাল থেকে ব্যবসায়ীক ও স্টুডেন্ট ভিসায় দুই দেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত শুরু হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে ব্যবসায়িক ও স্টুডেন্ট ভিসায় যাত্রী যাতায়াত বন্ধ করে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন।

এদিকে করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রণ সংক্রমণ রোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল বন্দর। ভারত থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে ফিরলে তাকে র‌্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষার পর করোনা নেগেটিভ হলে ঘরে ফেরার অনুমতি মিলছে। ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি ট্রাকে জীবানুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।

জানা যায়,করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে বিশ্বের ৫৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তের শিকার হয়েছে বাংলাদেশের দুই নারী ক্রিকেটার। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে এ পর্যন্ত ৩৭ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে। এমন অবস্থায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি,রফতানি ও পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত সচল রয়েছে। তবে আমদানি বাণিজ্য বা পাসপোর্ট যাত্রীদের মাধ্যমে যাতে কোন ভাবে ওমিক্রন না ছাড়ায় তার জন্য সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বেনাপোল বন্দর ও ইমিগ্রেশনে। এদিকে তিন দিন আগে সুরক্ষা জনিত কারণে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবসায়িক ও স্টুডেন্ট ভিসায় যাতায়াত বন্ধ করলেও তিন দিন পর তা আবারও স্বাভাবিক হয়েছে। বর্তমানে ভারত থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে ফিরলে তাকে র‌্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষার পর করোনা নেগেটিভ হলে ঘরে ফেরার অনুমতি মিলছে। ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা পাশাপাশি ট্রাকে জীবানুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।

ব্যবসায়িক ভিসা নিয়ে ভারত ভ্রমনকারী যাত্রী পরেশ রায় বলেন, ব্যবসায়িক ভিসায় ভারতের পেট্রপোল ইমিগ্রেশনের নিষেধাজ্ঞায় গত তিন দিনে ভারতে যেতে পারেননি। এখন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় ভারত যাচ্ছি।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার শুভাশিষ রায় বলেন, ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগে। ভারত থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী কেউ ফিরলে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার পর বাড়ি ফেরার অনুমতি দিচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বন্দরে বাড়ানো হয়েছে। ভারতীয় ট্রাক চালকেরা বন্দরে প্রবেশ মুহূর্তে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পণ্যবাহী ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি মো. রাজু আহম্মেদ জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বর্তমানে বিজনেস, মেডিকেল ও শিক্ষা ভিসায় দুই দেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত হচ্ছে। গত বছরের ১৩ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে ট্যুরিষ্ট ভিসায় যাতায়াত। তবে এয়ারের ভিসায় আপাতত সড়ক পথে ভারত ভ্রমন নিষিদ্ধ রয়েছে। কারো ভিসায় বাই এয়ার লেখা থাকলে তাকে এয়ারে ভারতে যেতে হবে। তবে যাদের ভিসায় বাই এয়ার/বাই রোড হরিদাসপুর লেখা আছে তারা এ পথে ভারত যেতে পারছেন।