পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে পরাজিত করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে দুর্বার গণআন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল দেশের সব রাজনৈতিক দলসহ গণতন্ত্রমনা মানুষের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণের দাবিতে এ সমাবেশ হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত এক বছর ধরে দেশনেত্রীর চিকিৎসার দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছি। আর বিলম্ব নয়; জনগণ বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে, পেশাজীবী ভাইয়েরাও বেরিয়ে আসছেন। তিনি বলেন, আজকের আন্দোলন শুধু খালেদা জিয়াকে মুক্তির আন্দোলন নয়; এ আন্দোলন জাতিকে মুক্তির আন্দোলন। আমাদের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে, আমাদের অর্জিত সব স্বপ্ন ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় আসুন সব গণতান্ত্রিক জনগণ, রাজনৈতিক দলসহ সব গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের মধ্য দিয়ে একটি দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলি।
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আসুন, আর বিলম্ব নয়; জনগণ বেরিয়ে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ আরও বেশি বেশি আসবে। পেশাজীবী ভাইয়েরাও আরও শক্তির সঙ্গে বেশি করে এগিয়ে আসবেন। তখন নিঃসন্দেহে আমরা সেই আন্দোলন শুরু করতে পারব। যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে আমরা বাধ্য করতে পারব, বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে।
শর্ত সাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করতে বলা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটি সম্পূর্ণভাবে একটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। বেগম খালেদা জিয়াকে তাদের যে ভয়, তিনি যদি সুস্থ হয়ে বের হয়ে আসেন, তা হলে তাদের তখতে তাউশ ভেঙে খানখান হয়ে যাবে। সেই কারণে তারা তাকে বাইরে চিকিৎসার জন্য দেন না।
খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এত অসুস্থ যে, এখন ডাক্তারা নিজেরাই বলছেন- খালেদা জিয়া জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা বলেছেন, এখন যে চিকিৎসা করলে আল্লাহতায়ালা আবার তাকে ফিরিয়ে দিতে পারেন। তার চিকিৎসা এ দেশে নেই, তাকে বিদেশে পাঠানো দরকার। কিন্তু এই সরকার তাকে বাইরে যেতে দিতে চায় না।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল সেলিম ভ‚ঁইয়ার পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, বিএনপি ঢাকা দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালাম, উত্তরের আহবায়ক আমানউল্লাহ আমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সাংবাদিক নেতা এম আবদুল্লাহ, কাদের গনি চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক খান, ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।
এদিকে গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপির এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চক্রান্তের পর সরকার এখন খালেদা জিয়ার জীবননাশের ষড়যন্ত্র করছে। তাকে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার জনগণের ওপর অত্যাচার করে বিদেশে দেশের সম্মান নষ্ট করছে। সারা বিশ্বে দেশের ভাবমর্যাদা নষ্ট করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে বিশ্বে দেশের ভাবমর্যাদা নষ্ট হয়েছে যাদের কারণে সরকার সেই র্যাব কর্মকর্তাদের পক্ষে সাফাই গাইছে। কিন্তু বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মানবাধিকার শূন্য হিসেবে চিহ্নিত। নির্বাচন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ধ্বংস করে লুটপাটের অর্থনীতি চলছে।
তিনি বলেন, ৭১ এর সঙ্গে বর্তমানের চেহারার কোনও পার্থক্য নেই। তরুণ যুবকদের গণতন্ত্রের কথা বলায় হত্যা করা হয়েছে। বর্তমান সরকার স্বাধীনতার কথা বলে জনগণের ওপর স্টিম রোলার চালাচ্ছে। হানাদারদের থেকে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই তারা। অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।