রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পটিয়া আল জামেয়া আল ইসলামিয়া জমিরিয়া মাদরাসাকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। গতকাল পটিয়া হানাদারমুক্ত দিবসে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মুক্তিযোদ্ধা খায়ের আহমদ উপরোক্ত তথ্য দেন। ১৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ সকাল ১১টার মধ্যে থানা অফিস দখল করা হয়। ওই সময় কোন পুলিশ ছিল না। ১৮৯ গ্রæপের কমান্ডার আবু ছৈয়দ নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা খায়ের আহমদ পটিয়া থানায় প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে থানার পাশে পটিয়া জমিরিয়া মাদরাসাকে মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্প করে সেখানে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ পরিচালনা করেন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশ ব্যাপী পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কতৃর্ক নির্বিচারে বাঙালি হত্যার বিরুদ্ধে এদেশে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে ওঠে এবং বাঙালি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের মোহাম্মদ খায়ের আহমদও ছিলেন। তাঁর পিতার নাম মৃত দেলা মিঞা। ভারতের বগাফা পাহাড়ে অস্ত্র ট্রেনিং শেষে খায়ের আহমদ দেশে ফিরেন। দেশে ফেরার সময় ফটিকছড়ির যুগ্যাছোলা বাজারের পাশে টিলার ওপর পাকবাহিনীর সাথে প্রথম সম্মুখযুদ্ধ হয়। এসময় কমান্ডার আবু ছৈয়দসহ গ্রুপের অন্যরা প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হয়েছেন খায়ের আহমদ গ্রুপের মৃদুল সদ্দার ও আনোয়ারুল আজিম। পরবর্তীতে পটিয়ার কেলিশহর এলাকায় অবস্থান করেন। পটিয়ার শ্রীমাই ব্রিজ, পটিয়া মাদরাসা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় সম্মুখযুদ্ধে কমান্ডার আবু ছৈয়দ ও খায়ের আহমদ প্রথম সারিতে নেতৃত্ব দেন। ৯ ডিসেম্বর পাকবাহিনী পটিয়া ত্যাগ করলে আবু ছৈয়দ গ্রুপ পুনরায় পটিয়ায় ফিরেন। ১৩ ডিসেম্বর পটিয়া থানা দখলের নিদের্শ পেয়ে ৩টি গ্রুপ বিভক্ত হয়ে থানা দখল করে নেন। এসময় আবু ছৈয়দের নেতৃত্বে খায়ের আহমদ গ্রুপসহ মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করেন। এভাবে ১৩ ডিসেম্বর পটিয়ায় হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধা খায়ের আহমদ ইনকিলাবকে জানান, বর্তমানে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার আড়ালে কিছু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাবমূর্তিক্ষুন্ন হচ্ছে। তাদেরকে চিহ্নিত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি তিনি দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।