রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বিজয়ের মাসে ঝরছে বীর মুক্তিযোদ্ধার চোখের পানি। পাথরঘাটার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফরিদ খানসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিচারের দাবিতে গতকাল সোমবার দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আলহাজ মো. শাহজাহান হাওলাদারসহ নির্যাতিত আরও কয়েকজন।
শাহজাহান হাওলাদার লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ২৮ নভেম্বরের ইউপি নির্বাচনে তার মেঝ ছেলে কবির হাওলাদার ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আতিকুর রহমান সালেহ’র কেন্দ্র এজেন্ট ছিলেন। নির্বাচনের একদিন পরে ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যার পরে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফরিদ খানের বড় ভাই ফারুক খানের নেতৃত্বে ৪০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. শাহজাহান হাওলাদারের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়। শাহজাহান হাওলাদার দাবি করেছেন, হামলাকারীরা ২ লক্ষাধিক টাকা ও ৩৫ হাজার টাকা দামের স্বর্নের চেইন নিয়ে গেছে। তাদের হামলায় আরও ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। হামলাকারীরা মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. শাহজাহান হাওলাদারের গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করেছেন।
শাহজাহান হাওলাদারের মেঝ ছেলে কবিরের বন্ধু মাসুদ আলম কালু অভিযোগ করেছেন, ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যার পরে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফরিদ খানের বড় ভাই ফারুক খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী মানিকখালী বাজারে এসে কবিরকে মোবাইলে ডেকে আনার জন্য বলেন। তাদের কথামতো কবিরকে ডেকে না আনায় তাকেও গলায় মাফলা পেঁচিতে হত্যার চেষ্টা ও মারধর করেছে।
নাচনাপাড়া ইউনিয়নের জ্ঞানপাড়ার ফুলমিয়া দুটো ভাঙা হাত নিয়ে অভিযোগ করেন, আ.লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্রপ্রার্থী মিরাজের সমর্থন করায় ১৮ নভেম্বর নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফরিদ খানের বড় ভাই ফারুক খানের নেতৃত্বে তার বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়েছে। এসময় তার দুটো হাত পিটিয়ে ভেঙে দেয়া হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা তার ঘর থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৭৫ হাজার টাকা দামের স্বর্নালঙ্কার নিয়ে গেছে। এসব হামলার ঘটনায় পৃথক মামলা হলেও আসামিরা জামিনে বের হয়ে আবারও তাদের হুমকি দিচ্ছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফরিদ খান জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। ফারুক খানের সাথে ওই মুক্তিযোদ্ধার সামান্য তর্কাতর্কি হয়েছে। মাসুদ আলম কালুকেও কোন ধরনের মারধর করা হয়নি। তিনি আরও জানান, ফুল মিয়ার সাথে তার চাচাত ভাই এনায়েতের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে তাদের ২ পরিবারের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।