খুলনা থেকে পুটয়াথালীর কুয়াকাটা সাগরপাড়ের হোটেলে নিয়ে বন্ধু জামির হোসেন সোহাগকে হত্যা করেছিল অপর দুই ঘনিষ্ট বন্ধু আসাদুজ্জামান টুকু ওরফে ডাকুয়া ও ডা. কৌশিক সরকার। ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর হত্যাকান্ডটি ঘটে। গতকাল রোববার সকালে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন বাংলার মোড় নামক স্থানে নিজ বাড়ির সামনে থেকে আসাদুজ্জামান টুকু ওরফে ডাকুয়াকে গ্রেফতার করে পটুয়াখালির সিআইডি পুলিশ। খালিশপুর থানা পুলিশ গ্রেফতারে সহায়তা করে।

পটুয়াখালী সিআইডির উপ-পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, খুলনার দৌলতপুর এলাকার আঞ্জুমান রোডের বাসিন্দা এসএম লুৎফর রহমানের ছেলে জামির হোসেন সোহাগ। তিনি যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে তার দুই ঘনিষ্ট বন্ধু আসাদুজ্জামান টুকু ওরফে ডাকুয়া ও ডা. কৌশিক সরকার হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে ২০২০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুয়াকাটা নিয়ে যায়। তারা স্থানীয় সাউথ বাংলা হোটেলের ১১২ নং কক্ষে ওঠে। পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে হোটেলের বিছানায় সোহাগের লাশ পাওয়া যায়। হত্যাকান্ডের পর দুই বন্ধু পালিয়ে যায়।
নিহতের বড় ভাই মো. জাহাঙ্গীর হোসেন কাজল হত্যার অভিযোগ এনে আসাদুজ্জামান টুকু ওরফে ডাকুয়া ও ডা. কৌশিক সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অপর বন্ধু ডা. কৌশিক সরকার পলাতক রয়েছে।