পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এবার দেশেও করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের উপস্থিতি শনাক্ত হলো। গতকাল সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া দু’জনই বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সদস্য। তাদের একজনের বয়স ২১ এবং আরেকজন ৩০ বছর। গত ৬ ডিসেম্বর তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ওমিক্রন শনাক্ত দুই নারী ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শুধুমাত্র তাদের বয়স জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তারা দু’জনই জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরেছেন, বর্তমানে ঢাকায় কোয়ারেন্টিনে আছেন। তারা শারীরিকভাবেও এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন।
দুই নারী ক্রিকেটারের সংস্পর্ষে যারা এসেছিলেন তাদের শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমরা কন্টাক্ট ট্রেসিং করছি, সবাইকে পরীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। জিম্বাবুয়ে থেকে আসা আমাদের দুই নারী ক্রিকেটার; যাদের শরীরে ওমিক্রন ভাইরাস পাওয়া গেছে, তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তারা সুস্থ আছেন। তাদের যেসব চিকিৎসা প্রয়োজন সেগুলোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে কী অবস্থায় আছে। পুরোপুরি সেরে উঠতে হয়তো কিছু দিন সময় লাগবে। অন্তত ২ সপ্তাহ লাগবে। তারা পুরোপুরি সেরে উঠলে কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বরাত দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আমরা যে টিকা ব্যবহার করছি, এই টিকাও ওমিক্রন দমনে কার্যকর। তাই যারা এখনও টিকা নেননি তাদের দ্রুত টিকা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও দুই ক্রিকেটার সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, তারা সুস্থ আছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাদের কোনও উপসর্গ নেই। ওমিক্রন করোনার নতুন ধরন হওয়ায় শঙ্কার জায়গা বেশি। সেইদিক থেকে দলের কেবল দু’জনের আক্রান্ত হওয়ায় ইতিবাচক দিকও দেখছেন পাপন। তিনি বলেন, পুরো টিম একসঙ্গেই ছিল। অন্যরা সবাই নেগেটিভ আছে এবং যাদের হয়েছে তাদের কোনও উপসর্গ নেই। আমি বলবো, এটা একটা বিরাট সুখবর।
দেশে ফেরার পর নারী দলের সব ক্রিকেটার, কোচ ও কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকটি করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। কোনও রিপোর্টেই পজিটিভ আসেনি। তবে ৬ ডিসেম্বর দুপুরে করা পরীক্ষায় দুইজনের রিপোর্টের ফল পজিটিভ এসেছে। তাদের শরীরে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি আছে কিনা, তা তখন নিশ্চিত হওয়া না গেলেও গতকাল নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই কারণে মেয়েদের আইসোলেশনের সময়ও বাড়ানো হয়েছে।
গত ৮ নভেম্বর প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্টটি এরই মধ্যে অর্ধশতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ বা উদ্বেগজনক হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টটি সম্পর্কে এক প্রাথমিক গবেষণায় বলা হচ্ছে, ডেলটা ও বেটা ধরনের তুলনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে পুনরায় সংক্রমিত করার ক্ষমতা তিনগুণ বেশি। আগে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ ব্যবস্থাও ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে বলেও ওই গবেষণাটিতে বলা হচ্ছে।
দেশের বিশেষজ্ঞরা আগে থেকেই এ বিষয়ে আশঙ্কা করে বলে আসছেন, সচেতন না হলে বাংলাদেশেও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে এই ভ্যারিয়েন্টটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।