Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফেনীতে মন্দির ও আশ্রমে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু

ফেনী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

ফেনীতে আশ্রম, মন্দির ও দোকানপাটে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। ফেনী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতাউল হকের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তদন্ত দল সরেজমিনে গাজীগঞ্জ মহাপ্রভুর আশ্রম, ট্রাংক রোডের কালীমন্দির, ফেনী বড় বাজারের কালীমন্দির এলাকা পরিদর্শন করে। তারা ঘটনাস্থলের পাশে অবস্থিত দোকানের মালিক, কর্মচারী, স্থানীয় ব্যক্তি ও উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে কথা বলে। পরিদর্শনকালে ১১ জন স্থানীয় সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করে তারা। ভাঙচুরের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। ঘটনার দিন পোড়া গাড়ির স্থিরচিত্র সংগ্রহ করে।

চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা জহির আহমদ মজুমদার জানান, একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ গত ২৮ অক্টোবর কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও রংপুর জেলায় গত ১৩ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত হিন্দু সম্প্রদায়, তাদের সম্পত্তি ও তীর্থস্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলার চিফ জুডিসিয়াাল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। এর আলোকে সরেজমিনে পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে ফেনীর ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়। তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজ উদ্দিন, কামরুল হাসান ও ফাতেমা তুজ জোহরা। এ সময় ফেনীর আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. গোলাম জিলানী সঙ্গে ছিলেন। পরিদর্শনের সময় আশ্রমের সেবায়েত, মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৬ অক্টোবর রাতে ফেনীর সংঘর্ষের একপর্যায়ে ট্রাংক রোডের শ্রী শ্রী জয়কালী মন্দির, বড় বাজারের রাজকালী মন্দির, কালীপাল গাজীগঞ্জ মহাপ্রভুর আশ্রম, তাকিয়া রোডে হিন্দুদের বেশ কিছু দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ, র‌্যাব ও মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে ফেনী মডেল থানায় চারটি পৃথক মামলা করা হয়। র‌্যাব, সিআইডি ও পুলিশের অভিযানে ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১০ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ