বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পুলিশ কনেষ্টবল পদে নিয়োগ লাভের ৭টি ধাপে সাফল্যের সাথে অতিক্রমের পরেও স্থায়ী ঠিকানার অভাবে বরিশালের হিজলার বাস্তুহারা আপসিয়া ইসলাম-এর চাকুরী পাবার অনিশ্চয়তায় কিছুটা আশার আলো দেখা দিতে শুরু করেছে। বরিশালের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে হিজলার ইউএনও আপসিয়ার পরিবারের জন্য বাসযোগ্য খাশ জমি প্রদানের ব্যবস্থা করছেন। যা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হস্তান্তর সম্ভব হবে বলে ইউএনও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তবে তহবিল সংকটে তাকে এখনই ঘর তৈরী করে দেয়া সম্ভব না হলেও প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর তৈরীর পরবর্তি কর্মসূচীতে পরিবারটির জন্য সে ব্যাবস্থা করা হতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু আপসিয়ার জন্য খাশ জমি প্রদানে যে সময় লাগবে ততদিন পুলিশের নিয়োগের বিষয়টি অপেক্ষমান থাকবে কিনা সে বিষয়ে ইউএনও কিছু বলতে পারেন নি।
সরকারী চাকুরীর জন্য যেকোন যোগতা সম্পন্নরই স্থায়ী ঠিকানা থাকা বাধ্যতামূলক হলেও আপসিয়া পুলিশ কনেষ্টবল পদে নিয়োগের ৭টি ধাপ কৃতিত্বের সাথে অতিক্রম করলেও শুধুমাত্র স্থায়ী ঠিাকার অভাবে তার নিয়োগ আটকে গেছে। তার দাদা বাড়ী ছিল ভোলার চরফ্যাশনে । যার কোন খোজ তাদের জানা নেই। বাবার সাথে ছোট বেলা থেকেই বরিশালে হিজলাতে অন্যের জমিতে বসবাস করতেন। পিতার মৃত্যুর পরে মা, তিন বোন ও এক ভাই সহ বড় জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের খুন্নাÑগোবিন্দপুর গ্রামে কোন এক ব্যাক্তির জমিতে বসবাস করছে তারা। মা অন্যের বাড়ীতে কাজ করার পাশাপাশি একমাত্র ভাইটি পোষক কারাখানয় চাকুরী করছে। নিজের একটি চাকুরী হলে চীর অভাবের সংসারে কিছুটা হলেও সচ্ছলতা ফিরবে বলে আশা করছিল সে।
আপসিয়া হিজলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে একটি চাকুরির জন্য চেষ্টার এক পর্যায়ে পুলিশ কনেষ্টবল পদে রিক্রুটমেন্ট-এর সবগুলো ধাপা সাফল্যের সাথে অতিক্রম করলেও এখন শুধু স্থায়ী কোন ঠিকানা না থাকায় সব প্রচেষ্টা ব্যার্থ হতে চলেছে। ইতোমধ্যে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি আক্তরুজ্জামানের সাথে দেখা করলে সরকারী চাকুরী বিধিমালা অনুযায়ী স্থায়ী ঠিাকানা বাধ্যতামূলক হলেও তিনি বিষয়টি সহানুভুতির সাথে দেখার জন্য বরিশালের এসপিকে বলেছেন। কিন্তু পুলিশ সুপার এক্ষেত্রে কিছু করতে পারছেনা।
তবে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দারের সাথে আপসিয়া দেখা করায় তিনি বিস্তারিত শুনে হিজলার ইউএনও’কে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার নির্দেশ দেন বৃহস্পতিবার। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে শুক্রবার ছুটির দিনেই ইউএনও আপসিয়াকে তার কার্যালয়ে খবর দিয়ে সব কিছু শুনে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে খাশ জমি দেয়ার কথা জানিয়েছেন।
তবে জমি পেলেও একটি বসত ঘর পেতে আপাসিয়ার পরিবারকে আরো অপেক্ষায় থাকতে হবে। উপরন্তু জমি প্রাপ্তির পরে স্থায়ী ঠিকানার লক্ষে সেখানে খানা তৈরী করে তা সরকারী নথি সহ পুলিশ রিক্রুটমেন্টে অন্তভর্’ক্তির সুযোগ থাকবে কিনা সে বিষয়টি এখনো পরিস্কার নয়। তবে পুলিশ ও প্রশাসনের স্থানীয় দায়িত্বশীল মহল এখনই হতাশ হতেও রাজি নয় বলেও জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।