Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে জমি ও ঘর পাচ্ছেন সেই আছপিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩:০৯ পিএম

পুলিশের প্রতিবেদনে ‘ভূমিহীন’ আছপিয়া ইসলাম কাজলের চাকরি হওয়া নিয়ে জটিলতার অবসান ঘটছে এবার। তার পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ থেকে ঘর ও জমি দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা দেড়টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বকুল চন্দ্র কবিরাজ।

বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, আছপিয়ার চাকরি না হওয়ার বিষয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হলে জেলা প্রশাসক স্যার আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে ভূমিহীন এই পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর মাধ্যমে জমি ও ঘর প্রদানের ব্যবস্থা করার জন্য।

আমি সকালে আছপিয়াকে কার্যালয়ে ডেকে বিস্তারিত জেনেছি। তার পরিবারকে ঘর ও জমি দেওয়া হবে চলতি সপ্তাহের মধ্যে। বিকেলে তাকে নিয়ে খাসজমি দেখতে যাব। জমি পছন্দ হলেই দ্রুত হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, নিয়োগের সময়সীমা কত দিন তা আমি জানি না। তবে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে সেই সময়সীমার মধ্যে তার বা তার মায়ের নামে জমি ও ঘর হস্তান্তর করার চেষ্টা করব।

এদিকে আছপিয়ার পুলিশে চাকরি হয়েছে, এমন তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও আনুষ্ঠানিকভাবে তা কেউ স্বীকার করেননি।
প্রসঙ্গত, পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে বরিশাল জেলায় ১০ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পুলিশ সদর দফতর। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বরিশাল জেলা থেকে টিআরসি পদে ৭ জন নারী ও ৪১ জন পুরুষ নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী হিজলা থেকে অনলাইনে আবেদন করেন আছপিয়া ইসলাম। ১৪, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৭ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। ২৩ নভেম্বর প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফলেও কৃতকার্য হন। ২৪ নভেম্বর পুলিশ লাইনসে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধা তালিকায় পঞ্চম হন আছপিয়া।

২৬ নভেম্বর পুলিশ লাইনসে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২৯ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ঢাকার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে কৃতকার্য হন আছপিয়া। তবে চূড়ান্ত নিয়োগের আগে পুলিশ ভেরিফিকেশনে নিয়োগ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। কারণ তিনি বরিশাল জেলার স্থায়ী বাসিন্দা নন। এই নিয়োগ পাওয়ার অন্যতম শর্ত ছিল জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) হিজলা থানার এসআই মো. আব্বাস ভেরিফিকেশনে আছপিয়া বরিশাল জেলার স্থায়ী বাসিন্দা নয় উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেন।



 

Show all comments
  • Ruma ১০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:২৭ পিএম says : 0
    Ovinondon
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ