Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্যাস লিকেজ : ছেলে-মেয়ে-স্বামীর পর চলে গেলেন স্ত্রীও

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ২:৩২ পিএম

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুরে একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে দুই সন্তান, স্বামীর পর স্ত্রী শান্তা খানমও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শান্তা খানমের দুই শিশু সন্তান ইয়াছিন খান (৫) ওফাতেমা নোহরা খানমের (৩) মৃত্যু হয়। পরে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী কাউসার খানের মৃত্যু হয়।
শান্তা খানমের স্বামী কাওসার খান কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বয়লা খান বাড়ির বাসিন্দা আব্দুস সালাম খানের ছেলে। তিনি মুন্সিগঞ্জের আবুল খায়ের গ্রুপে ওয়েল্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কাওসারের স্বজনরা জানান, কাওসার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন মুক্তারপুর এলাকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায়। গত বৃহস্পতিবার ভোরে চর মুক্তারপুরের শাহ সিমেন্ট রোডে জয়নাল মিয়ার চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কাওসারের পরিবারের চারজনসহ পাঁচজন ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ হন।
শনিবার সকালে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কাওসার খান (৩৭)। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তার ছেলে ইয়াসিন খান (৬) ও মেয়ে ফাতেমা নোহরা খানম (৩)। তার স্ত্রীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক ছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে শান্তা খানমও মারা যান।
শনিবার সন্ধ্যায় কাওসার খানের গ্রামের বাড়ি বোয়ালিয়া এলাকায় তার মরদেহ আনা হয়। আগের দিন আনা হয় তার দুই সন্তানের মরদেহ। আজ বৃহস্পতিবার আনা হচ্ছে শান্তা খানমের মরদেহ। গোরস্থানে তিনজনের সঙ্গে শান্তাকেও পাশাপাশি কবর দেওয়া হবে।
নিহত কাওসার খানের বড় ভাই আব্দুল কাইয়ুম খান জানান, চাকরির সুবাদে ১০ বছর ধরে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত কাউসার। কাউসার আবুল খায়ের গ্রুপে রিভার ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করত।

 



 

Show all comments
  • ELMAY A JILANI ৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ২:৫৯ পিএম says : 0
    So sad, It is observed that day by day it is increased, It is risk for using people, so how it reduced , I think in community organisers give physical instruction about use it, A team of Company will check and trained the users physically, Media alert daily about use it and short natok show in tv or you tube to cautious. Union parishad of volunteers make a register how many people using this gas cylinder and group by group arrange training about safety it. Those who will use thos gas cylinder they must take certificate from union council with small fee, this fee will deposite to the Deputy commission office for tax increased and give many support from govt. Union council will increase tax for govt and govt will support them. That UP is best who increase govt tax and collect enough for govt to development in our country.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ