পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সদ্য বিদায়ী তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান তালুকদারের এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। একই সঙ্গে মুরাদ হাসানের কর্মকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ জনস্বার্থে এ রিট করেন।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ডিভিশন বেঞ্চে রিটের শুনানি হতে পারে বলে জানান রিটকারী এ আইনজীবী। রিটে বলা হয়,তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদে থাকা অবস্থায় তিনি বিভিন্ন সময় অশ্রাব্য কথাবার্তা বলেছেন। যা শিশু-কিশোরদের মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সাধারণ মানুষের মাঝেও বিরূপ প্রভাব পড়বে। দায়িত্বশীল পদে থেকে তিনি কিভাবে এ ধরণের অশ্রাব্য মন্তব্য করতে পারলেন-এর একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করে পত্র পাঠান তথ্য ও স¤প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। রাতে সেটি গ্রহণ করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। পরে এ বিষয়ে সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর প্রকাশিত গেজেট বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহিত হয়েছে। এ পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত: খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুরাদ হাসানের বক্তব্য সংবলিত একটি ভিডিও স¤প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করতে শোনা যায় তাকে। এর পরপরই চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার অশ্রাব্য কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়। পর পর এ দুই ঘটনায় মুরাদ হাসানের সমালোচনায় সোচ্চার হন নারী অধিকারকর্মীসহ দেশের শ্রেণী-পেশার মানুষ। প্রমিন্ত্রীর পদ থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি ওঠে। এ প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন। পরপর দলীয় পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।