পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে আমি তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। মন্ত্রী মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় আমি কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমি আপনাদের প্রত্যেকের আন্তরিক সহযোগিতা চাইছি। আপনারা তথ্য মন্ত্রণালয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ, ঠিক একইভাবে আমিও।’- বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ছাড়া কোনো বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল তার কর্মসূচি কাভার করে না জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান বার্তা প্রধানদের উদ্দেশে এসব কথা বলেছেন।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বার্তা প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি এখানে অপূর্ণ ও অসম্পূর্ণ থাকব যদি আমি আপনাদের সবার সদয় ও আন্তরিক সহযোগিতা না পাই। মন্ত্রী মহোদয় এই মন্ত্রণালয়ের অভিভাবক, উনি রাষ্ট্রের সকল গুত্বপূর্ণ তথ্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জাতীয় ইস্যুতে বলে থাকেন। আমার ওইভাবে এত কথা বলার প্রয়োজনীয়তা নেই। তারপরও উনি যখন থাকেন না অথবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলোতে যান মন্ত্রী মহোদয় সব অনুষ্ঠানে যেতে পারেন না, তখন আমাদের বলেন, আমি যাই।’
‘হয় কী তখন...আমাদের বিটিভির ক্যামেরা-ওরা তো যায়ই, দেখা যায়, আমাদের বেসরকারি প্রায় ৩৫টি চ্যানেল...এর পাশাপাশি অনলাইন পোর্টালগুলো আছে....এগুলো বড় পার্ট হয়ে গেছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। সবাইকে উদ্দেশ করে বলছি, তারা হয়তো জানতে পারেন না বা যায় না। এই জায়গাটায় একটা বড় শূন্যতা বা গ্যাপ হচ্ছে।’
মুরাদ হাসান বলেন, ‘আমার কর্মসূচিগুলো আমাদের পিআরও, পিএস, এপিএস আপনাদের কাছে পাঠাবে। এক্ষেত্রে আমার অনুরোধ হলো আপনারা যদি আপনাদের ক্যামেরা, রিপোর্টার পাঠান তবে শূন্যতাটা কাভার হবে। এটা আমি পাঁচ মাস ধরে অনুভব করছি, আমার উপলব্ধিতে বারবার এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু বিটিভি যাচ্ছে, বিটিভি হয়তো বড় একটা অংশ কাভার করে রুরাল এরিয়ায়। আরবান এরিয়ায় প্রাইভেট চ্যানেলগুলোই মানুষ দেখে থাকে। এ কারণে আমাদের একটা বড় গ্যাপ হচ্ছে, এই গ্যাপগুলো না থাকুক-এটাই আমার প্রত্যাশা। আপনাদের আন্তরিক প্রত্যাশা ছাড়া এই গ্যাপ পূরণ সম্ভব না। এ সময় নিজের দায়িত্ব পালনে বার্তা প্রধানদের সহযোগিতা চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে থেকে আপনাদের সঙ্গে সম্পর্কটা ডেভেলপ যেন হয়। আন্তরিক দৃষ্টি আমার প্রতি যেন থাকে যে, মুরাদ ভাই কোথায় গেল, তার আজকে কী প্রোগ্রাম? আপনারা আমাকে নিয়েও একটু ভাবুন। এটা আমার জন্য অনেক ভালো হবে।’
আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান বলেন, ‘আমাদের ডাকার চিঠিটা ফরমাল হয়ে গেছে। টেলিভিশনগুলো বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। ব্যবসা-বাণিজ্য খারাপ। তথ্যমন্ত্রীকে আমরা বিভিন্ন সমস্যার কথা বলছি, আপনাকেও বলব, আপনাকেও দায়িত্ব নিতে হবে।’
তার এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এগুলো অলমোস্ট জানি। নিশ্চয়ই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার জন্যই প্রধানমন্ত্রী এই দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই দায়িত্ব নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। আমি প্রমাণও করতে চাই, আমার আন্তরিকতা কতটুকু। আপনাদের পাশে থাকার জন্য আমার মানসিকতা কতটুকু। সেটা নিশ্চয়ই কাজের সঙ্গে সঙ্গে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রমাণ হবে। একদিনে কথা বলে বোঝানো মুশকিল। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে চাই বলেই তো ডেকেছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।