পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
একটি স্বাস্থ্যকর ও টেকসই ভবিষ্যত গড়ে তুলতে কার্বন নিঃসরণরোধ ও বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে কারখানাগুলোর উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি পরিবেশ রক্ষায় অবদানকারী বাংলাদেশের সকল কারখানাকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে সম্মাননা দেয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানান। এছাড়া তিনি পোশাক শিল্পে সবুজায়নকে উৎসাহিতকরণের জন্য বৈশ্বিক ব্র্যান্ড ও রিটেইলারদেরকে পণ্যের যৌক্তিক মূল্য প্রদানের আহবান জানান ফারুক হাসান।
গতকাল ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘গ্রীন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালী যোগ দেন।
স্থানীয় শিল্পগুলোকে সবুজ বিনিয়োগে উৎসাহিতকরণের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় ‘গ্রীন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন করেছে। যার ফলসূতিতে পরিবেশ রক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৫টি পোশাক কারখানাসহ মোট ৩০টি প্রতিষ্ঠান গ্রীন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। গ্রিন অ্যাওয়ার্ড কারখানাগুলোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি।
অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পোশাক খাতের ১৫টি প্রতিষ্ঠান, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতের ৩টি ও চা শিল্পখাতের ৪টি প্রতিষ্ঠান, লেদার শিল্পের ২টি প্রতিষ্ঠান, প্লাষ্টিক শিল্পের ৩টি এবং ঔষধ শিল্পের ৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
যে পোশাক কারখানাগুলো গ্রিন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে, সেগুলো হলো-রেমি হোল্ডিংস লিঃ, তারাসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড, প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেড, মিথেলা টেক্সটাইল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড, ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও লিমিটেড, এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড, করোনি নীট কম্পোজিট লিমিটেড, ডিজাইনার ফ্যাশন লিমিটেড, কেনপার্ক বাংলাদেশ অ্যাপারেল প্রাইভেট লিমিটেড (কেনপার্ক ইউনিট ২), গ্রিন টেক্সটাইল লিমিটেড (ইউনিট-৩), ফোর এইচ ডাইং এন্ড প্রিন্টিং লিমিটেড, উইজডম অ্যাটায়ারস লিমিটেড, মাহমুদা অ্যাটায়ারস লিমিটেড, স্লােটেক্স আউটওয়্যার লিমিটেড এবং আউকো-টেক্স লিমিটেড।
ইউএসজিবিসি থেকে লীড (লিডারশিপ ইন এনভাইরনমেন্টাল এন্ড এনার্জি ইন ডিজাইন) সনদপ্রাপ্ত ১৫২টি সবুজ কারখানার আবাসস্থল বাংলাদেশ সবুজ কারখানার দিক থেকে বিশ্বে নেতৃস্থানীয়। এগুলোর মধ্যে ৪৪টি কারখানা প্লাটিনাম রেটেড, ৯৪টি গোল্ড রেটেড এবং ১০ সিলভার রেটেড। বর্তমানে ৫০০টিরও অধিক কারখানার লীড সনদ পাওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।