দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
মুমিনব্যক্তি আমলের মাধ্যমে আল্লাহপাকের নিকট প্রিয় হয়, নৈকট্যও লাভ করে। আল্লাহর নৈকট্য লাভের অনেকগুলো আমল রয়েছে, তম্মধ্যে তিনটি আমল সহজসাধ্য যেগুলো তাৎক্ষনিক করতে হয়। কেননা এসব আমল বিলম্বে করতে গেলে ছুটে যাবার সম্ভাবনা থাকে এবং মুমিন বান্দাহ কাঙ্খিত উপকার হতে বঞ্চিত হয়ে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়ে যায়। আল্লাহপাক পবিত্র কোরআন মাজিদে ইরশাদ করেন, কসম যুগের (সময়ের), নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ; কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের। (সুরা আসর)। সকল প্রকার ক্ষতির হাত থেকে মুক্তির লক্ষ্যে আল্লাহ তায়ালা মুমিন ব্যক্তির জন্য সময়োপোযোগী আমল নির্ধারিত করে দিয়েছেন। সালাতসহ সকল আমল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আদায় করতে হয়, কিছু আমল তাৎক্ষণিক করতে হয় আবার কিছু আমলের ব্যাপারে বিলম্বে আদায়ের অবকাশ দেয়া হয়েছে। বিলম্ব কিংবা তাৎক্ষনিক হোক না কেন মুমিন বান্দাহকে নিজের কল্যাণে ও পরকালীন মুক্তির খাতিরে আল্লাহপাক নির্দেশিত আমলসমুহ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশিত তরিকায় আদায় করতে হয়।
আলী (রা:) বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হে আলী! তিনটি বিষয়ে দেরি করবে না, ১. সালাতের সময় হয়ে গেলে আদায় করতে দেরি করবে না; ২. জানাজা উপস্থিত হয়ে গেলে তাতেও দেরি করবে না এবং ৩. স্বামীবিহীন নারীর উপযুক্ত বর পাওয়া গেলে তাকে বিয়ে দিতেও দেরি করবে না।’ (সুনানে তিরমিজি:১০৭৫, মিশকাতুল মাসাবীহ: ৬০৫)।
তিনটি আমল আদায়ে মুমিন বান্দাহদের করণীয়ঃ
১. সালাত যথাসময়ে আদায় করাঃ সালাত মহান আল্লাহর সাথে তাঁর বান্দার সম্পর্কের মাধ্যম। সালাতের মাধ্যমে বান্দাহ আল্লাহ পাকের নৈকট্য হাসিল করে। নির্দিষ্ট সময়েই সালাত আদায় করতে হয়, এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেন, নিশ্চয় সালাতকে ঈমানদারের জন্য নির্ধারিত সময়ে (আদায় করা) আবশ্যক কর্তব্য করা হয়েছে।’ (সুরা নিসা : আয়াত: ১০৩)। তিনি আরো বলেন, তোমরা সালাত সমূহের প্রতি এবং ( বিশেষ করে ) মধ্যবর্তী সালাতের প্রতি যত্ন বান হও, এবং আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্যে একান্ত অনুগত অবস্থায় দাড়াও। (সুরা বাকারাহ : আয়াত:২৩৮)। তিনি আরো ইরশাদ করেন, ‘তোমরা (সময় মতো) সব (ফরজ) সালাতের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী সালাতের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও। অতপর যদি তোমাদের কারো ব্যাপারে ভয় থাকে, তাহলে পদচারণা অবস্থাতেই (নামাজ) পড়তে নাও অথবা সওয়ারীর উপরে। তারপর যখন তোমরা নিরাপত্তা পাবে, তখন আল্লাহকে স্মরণ কর, যেভাবে তোমাদের শেখানো হয়েছে, যা তোমরা ইতিপূর্বে জানতে না।› (সুরা বাকারা : আয়াত: ২৩৮-২৩৯)। এ আয়াতে কারিমায় যথাসময়ে সালাত আদায়ের ব্যাপারে তাগিদ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন অজুহাতে মানুষ সালাতে দেরি করে। অবহেলায় সময় কাটিয়ে দেয়। অথচ কুরআনুল কারিমের নির্দেশনা হলো- সময় মতো সালাত পড়া। এমনকি যদি কারো কোনো ভয় কিংবা কেউ সফরে সাওয়ারির উপরও থাকে তবে তাকে সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায়ের তাগিদ দেয়া হয়েছে। সালাত পড়ার সময় একান্ত আদবের সঙ্গে আদায় করার কথাও বলা হয়েছে।
যথাসময়ে সালাত আদায়ের ব্যাপারে হাদিস শরীফে বর্ণিত রয়েছে, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহ্র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আল্লাহর কাছে কোন আমল সবচেয়ে উত্তম? তিনি বললেন, ‹সময় মতো সালাত আদায় করা›। (আমি) বললাম, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, ‹বাবা-মার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা। (আমি) বললাম, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, ‹আল্লাহ্র পথে জিহাদ করা।’ (বুখারি ও মুসলিম)।
হজরত উম্মি ফারওয়াহ রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী কারিম (সা.) কে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, সবচেয়ে মর্যাদাবান ‘আমল কোনটি? তিনি বলেন, ওয়াক্তের প্রারম্ভে সালাত আদায় করা। (সুনানু আবী দাঊদ: ৪২৬, জামি’উত তিরমিযী:১৭০)। উল্লেখিত হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী সালাতে বিলম্ব করা মোটেও উচিত নয়। সালাতকে যথাসময়ে আদায় করার ব্যাপারে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস রয়েছে, তা হল, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে আরো বর্ণিত যে, একদিন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়েকেরামের কাছে এসে বললেন, ‘তোমরা কি জান তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তাআলা কি বলেন? (উপস্থিত)সবাই বললেন, ‘আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলই সবচেয়ে অধিক জানেন।’ প্রিয়নবি সাল্লাল্লাাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে তিনবার প্রশ্ন করেন আর সাহাবায়েকেরামও এভাবে তিনবার উত্তর দেন। অতঃপর প্রিয়নবি সাল্লাল্লাাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘(আল্লাহ বলেন) আমার ইজ্জত ও মহিমার কসম! যে ব্যক্তি যথা সময়ে (প্রথম ওয়াক্তে) সালাত আদায় করবে, তাকে আমি জান্নাতে প্রবেশ করাব। আর যে ব্যক্তি অসময়ে সালাত আদায় করবে তাকে আমি ইচ্ছা হলে দয়া করব নতুবা ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দেব।’ (তাবারানি, কাবির, সহিহ তারগিব)।
২. জানাযা ও দাফনকার্য দ্রুত সম্পাদন করাঃ মানুষ চিরজীবী নয় বরং মরণশীল। প্রত্যেক মানুষকে এক মোহময় দুনিয়ার মায়া ছেড়ে একদিন পরপারে যেতে হবে। জীবন শেষে মৃত্যুর এই চিরায়ত নিয়ম চিরকাল চলে আসছে,একই ধারা পরিক্রমা কিয়ামত পর্যন্ত চলতেই থাকবে। ইসলাম ধর্মে যে কোন ইমানদার ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার জন্য দোয়া করা হয়, আয়োজন করা হয় জানাজার সালাতের, যা ফরজে কেফায়া। দাফন এবং কাফনও জানাজার সালাতের মতোই ফরজে কেফায়া। জানাজার সালাত আদায় করা অতি সাওয়াবের কাজ। জানাজার নামাজকে আরবে ‘সালাত আল মাইয়েত’ বলা হয়, অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করে সালাত আদায় করা হয়।
মহানবী সাল্লাল্লাাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে মুসলিম মৃত ব্যক্তির জানাজার সালাতে আল্লাহর সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক করে নাই এমন ৪০জন লোক সালাত আদায় করবে, তবে মৃত ব্যক্তির ব্যাপারে তাদের সুপারিশ আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন।’ (সহীহ মুসলিম)। আরো একটি হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মৃত মুসলিম ব্যক্তির জানাযায় ঈমান সহকারে ও ছাওয়াবের আশায় শরিক হয় এবং জানাযা ও সমাধি পর্যন্ত থাকে সে দুই কিরাত নেকি পাবে। প্রতি কিরাত হচ্ছে ওহুদ পাহাড়ের সমান। আর জানাযা পড়ে দাফনের পূর্বে ফিরে যাবে সে এক কিরাত নেকি নিয়ে ফিরবে। (বুখারি, মুসলিম)।
কোন ব্যক্তি যখন মারা যায় তখন সর্বপ্রথম কাজ হলো তার মৃত্যু সংবাদ আত্মীয় স্বজন পাড়াপ্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিতজনদের মাঝে পৌঁছিয়ে দেয়া। যতদ্রুত সম্ভব মৃত ব্যক্তির গোসল সম্পাদন করে স্বল্প সময়ের মধ্যে কাফন পরিধান করিয়ে সালাতুল জানাযা এর ব্যবস্থা করা। সালাতুল জানাযা আদায়ের পরপরই মৃত ব্যক্তিকে দ্রুততার সাথে কবরে দাফন শেষ করা। কেননা মৃত ব্যক্তির হক হলো মৃত্যুর পরপরই কবরে শায়িত হওয়া। মৃত ব্যক্তির দাফনে বিলম্ব হলে অনেক সময় লাশ নষ্ট হয়ে দুগন্ধ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।
৩. বিবাহ উপযুক্ত নারীদের বিবাহ দ্রুত সম্পাদন করাঃ ইসলামে বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। প্রাপ্ত বয়স্ক ও সামর্থবান সকল নারী পুরুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার ব্যাপারে পবিত্র কুরআনের নির্দেশনা রয়েছে। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) বিবাহের ফযিলত বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইরশাদ করেছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন। (সূরা নূর : আয়াত: ৩২-৩৩)।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘বিয়ে হলো আমার সুন্নাত যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত তরিকা ছেড়ে চলবে সে আমার দলভুক্ত নয়।’ (সহীহ বুখারি)। অন্য হাদিসে এসেছে- ‘হে যুবসমাজ! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ের সামর্থ্য রাখে, তাদের বিয়ে করা কর্তব্য, কেননা বিয়ে দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী, যৌন অঙ্গের পবিত্রতা রক্ষাকারী।’ (মিশকাতুল মাসাবীহ)। তিনি আরো ইরশাদ করেন, ‘হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যারাই স্ত্রীর অধিকার আদায়ে সামর্থ্য রাখে, তারা যেন অবশ্যই বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়।’ (সহীহ বুখারি)।
আজকাল অধিকাংশ মানুষ কন্যা সন্তানকে বোঝা মনে করে, তাদের জন্মকেও অভিশাপ মনে করে। মানুষের মনের এ অব্যক্ত কথাগুলো প্রকাশ করতে গিয়ে আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয়, তখন তার মুখ অন্ধকার হয়ে যায় এবং অসহ্য মনস্তাপে ক্লিষ্ট হতে থাকে। তাকে শোনানো সুসংবাদের দুঃখে সে লোকদের কাছ থেকে মুখ লুকিয়ে থাকে। সে ভাবে, অপমান সহ্য করে তাকে থাকতে দেবে নাকি তাকে মাটির নিচে পুতে ফেলবে। শুনে রাখো, তাদের ফয়সালা খুবই নিকৃষ্ট। ’ (সুরা আন-নাহল: আয়াত : ৫৮-৫৯)।
রাসুল (সা.) মেয়েদের অনেক বেশি ভালোবাসতেন। মেয়েরা ছিল তার আদরের দুলালী। আজীবন তিনি কন্যাদের ভালোবেসেছেন এবং কন্যা সন্তান প্রতিপালনে অন্যদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। কন্যা সন্তান লালন-পালনে অনেক উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি অসংখ্য হাদিস এ প্রসঙ্গে বর্ণনা করেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দু’টি কন্যাকে তারা সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত লালন-পালন করবে, কিয়ামতের দিন আমি এবং সে এ দু’টি আঙ্গুলের মতো পাশাপাশি আসবো (অতঃপর তিনি তার আঙ্গলগুলি মিলিত করে দেখালেন)’। (মুসলিম, হাদিস নং: ২৬৩১, তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯১৪)। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কারও যদি তিনটি মেয়ে কিংবা বোন থাকে অথবা দু’টি মেয়ে বা বোন থাকে, আর সে তাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে এবং তাদের সঙ্গে সদাচার করে, তবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে। ’ (মুসনাদ আহমদ, হাদিস নং : ১১৪০৪)। আউফ বিন মালেক আশজায়ি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির তিনটি মেয়ে রয়েছে, যাদের ওপর সে অর্থ খরচ করে বিয়ে দেওয়া অথবা মৃত্যু পর্যন্ত, তবে তারা তার জন্য আগুন থেকে মুক্তির কারণ হবে। তখন এক নারী বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, আর দুই মেয়ে হলে? তিনি বললেন, দুই মেয়ে হলেও। ’ (বাইহাকি, শুয়াবুল ঈমান, হাদিস নং : ৮৩১৩)। আলোচ্য আয়াত ও হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী যে সকল পিতা বা অভিভাবক কন্যা সন্তানকে লালন পালন করে উপযুক্ত পাত্রে বিবাহ দেয় তার জন্য মহান রবের পক্ষ থেকে অগণিত সাওয়াব ও পার্থিব অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে।
পরিশেষে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে অতি গুরুত্বপূর্ণ এ তিনটি আমল যথাসময়ে দ্রুততার সাথে সম্পাদন এবং তিনটি আমলের অগণিত ফায়েদা হাসিলের তাওফিক দান করুন। আমীন।
লেখকঃ মুহাদ্দিস, নোয়াখালী কারামাতিয়া কামিল মাদরাসা, সোনাপুর, সদর, নোয়াখালী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।