বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোরের চৌগাছায় বোরো ধানের বীজের দাম একদিনে বেড়ে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেশি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চাষীরা। তাদের অভিযোগ ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা তিনদিন বর্ষণে এলকার অধিকাংশ বোরো বীজতলা পানি জমে নষ্ঠ হয়ে গেছে। ফলে চাষীরা নতুন করে বীজতলা করার জন্য বীজ ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন। আর এরই সুযোগ গ্রহণ করছেন বীজ ব্যবসায়ীরা।
সোমবার বিকেল থেকে বর্ষণ কিছুটা কমলেই উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে চাষীরা চৌগাছা শহরে বীজের দোকানে ভীড় করতে থাকেন। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষণেক্ষণে বীজের দাম বাড়িয়ে দিতে থাকেন।
চৌগাছা উপজেলার পাতিবিলা গ্রামের মতিয়ার রহমান খান বলেন, আমি বাসমতি ধানের বীজ প্রতি এক কেজির প্যাকেট কিনেছিলাম ১৬০ টাকা করে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা তিনদিন বর্ষণে আমার ১০ বিঘা জমির বোরো বীজতলা পানি জমে নষ্ঠ হয়ে গেছে। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বাজারে সে বীজের দাম ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা চাচ্ছেন দোকানিরা। দাম বেশী হবার কারণে বাসমতি ধানের বীজ বাদ দিয়ে ৫০ টাকার রডমিনিকেট ৯০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। গরীবে কষ্ট দেখার কেউ নেই, দাম নিয়ে কথা বল্লে বীজ নাই না।
চাঁদপাড়া গ্রামের চুন্নু মিয়া বলেন, প্রথম দিকে বিভিন্ন জাতের শুভলতা, স্বর্ণ ধানের বীজের দাম ছিলো ৩৪/৩৫ থেকে চল্লিশ টাকা। সেই বীজ বুধবার কিনতে হচ্ছে ১৫০ টাকা করে কেজি।
পেটভরা গ্রামের জাকির হোসেন আঠারো কেজি মিনিকেট ধানের পাতো দিয়েছিলাম (বীজতলা)। সব বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। বাড়ির বীজ ছিলো। তখন দাম ৭০ টাকার বেশি ছিলো না। এখন বাজার থেকে ফের কিনতে হচ্ছে। বুধবার বাজারে যার দাম প্রতিকেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা।
বড়খানপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলী বলেন, দোকানিরা ঘণ্টায় ঘণ্টায় বোরো বীজের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি শহরের আলীয়া মাদরাসা সড়কে বীজের দোকানে যখন প্রবেশ করি তখন তারা ১৩০ টাকা কেজি। তখন দোকানে অনেক ভীড়। আমি সিরিয়ালে পড়তেই তারা দাম চাইলেন ১৫০ টাকা কেজি।
উপজেলার স্বরুপদাহ গ্রামের ফশিউজ্জামান বলেন, আমি বাসমতি ধানের বীজ এক কেজির প্যাকেট কিনেছিলাম ১৯০ টাকা করে। সোমবারও বাজারে এই দামই ছিলো। বুধবার সে বীজের দাম ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা চাচ্ছেন দোকানিরা।
চৌগাছার বুলু বীজ ভান্ডার বলেন, হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অন্যদের মতো আমরাও ২০/৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছি। তবে চাহিদা না থাকলে দাম কম হবে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।