পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারত এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে চায় না যা বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চমৎকার ‘সোনালী অধ্যায়’-এ ফাটল ধরাতে পারে। গতকাল সফররত ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, তারা এমন কোন ঘটনাও দেখতে চায় না যা বাংলাদেশ-ভারতের (সোনালী অধ্যায়) সম্পর্কে কোন ধরনের (ফাটল) ধরাতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি একটি সৌজন্য বৈঠক ছিল কারণ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শ্রিংলা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সকল দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ড. মোমেন বলেন, সংক্ষেপে তারা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত হত্যা ও পানি বন্টনসহ বেশ কয়েকটি অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের সীমান্তের অবাঞ্ছিত ঘটনা রোধে একটি ফর্মুলা দিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে পানি বন্টন সমস্যা সমাধানে পরবর্তী যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক আয়োজনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্যও ঢাকা ভারতকে আহ্বান জানিয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, দুই দেশের সম্পর্কের চলমান ‘সোনালী অধ্যায়’ কিভাবে সামনের দিনগুলোতে এগিয়ে নেয়া হবে সে বিষয়েও তারা আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের এই সম্পর্কটি দৃঢ় করতে হবে, এটি উভয় দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য প্রয়োজন।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে মধুর বলে অভিহিত করে ড. মোমেন বলেন, দুই দেশ এটিকে আরও উন্নত করতে চায়। শ্রীংলা গতকাল দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এবং আগামী ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রস্তুতিতে সহায়তা করার জন্য দুই দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় এসে আসেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী গত মার্চে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে যোগ দেন এবং ভারতীয় প্রেসিডেন্ট আগামী ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় ৫০তম বিজয় দিবসে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, এই সফরগুলো আমাদের সম্মানিত করেছে। ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব আজ নয়াদিল্লীতে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।