পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে যখন ভাটার টান এবং অনিয়ম, দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় আর্থিক খাতের যখন নাজুক অবস্থা; তখন বিনিয়োগকারীদের আশার আলো দেখিয়েছে একমাত্র শেয়ারবাজার। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি), বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটিসহ (বিডা) সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিনিয়োগ আকর্ষণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড ও আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলে ধরছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী জানুয়ারিতে কাতারের রাজধানী দোহায় রোড শো অনুষ্ঠিত হবে।
এ সব কার্যক্রমের ফলে করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও দেশের শেয়ারবাজারে মানুষের আস্থা ফিরেছে। বিনিয়োগ বাড়ছে। এছাড়া বিএসইসি আইনের শাসন এবং জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করায় শেয়ারাবাজারের প্রতি ক্রমান্বয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। যা করোনার অভিঘাত কাটিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেও সহায়ক ভ‚মিকা পালন করছে।
কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি স্বার্থান্বেষী গ্রæপের অপতৎপরতায় শেয়ারবাজারে বিএসইসি’র নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ বারবার ভেস্তে যাচ্ছে। শেয়ারবাজারের অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলেই নতুন কোনো নিয়মনীতি প্রবর্তন করে অযাচিত হস্তক্ষেপ করে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। শেয়ারবাজারে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বৈরিতা তৈরি হয়েছে।
আর সে কারণে বর্তমানে দেশের দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) একে অপরের পক্ষ-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, দীর্ঘ মন্দার পর চলতি বছরে পুঁজিবাজার জেগে ওঠেছে। এরই মধ্যে বাজারের উত্থান পতন নিয়ে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে এক ধরনের বিরোধ বা টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সভা ডেকেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির প্রতিনিধি ছাড়াও থাকবেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, অর্থ বিভাগ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি’র প্রতিনিধি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই বৈঠক হবে বলে মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিএসইসি ও বিআইসিএম শাখা থেকে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব নাহিদ হোসেন সাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিতে এই বৈঠকের কারণ হিসেবে ‘পুঁজিবাজার উন্নয়নের’ কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, অর্থমন্ত্রীর সাঙ্গে অংশীজনের মতবিনিময় সভার প্রস্তাবনাগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন কাজ সমন্বয় ও তদারকির জন্য এই আলোচনা হবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং পুঁজিবাজার কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকি কমিটির আহ্বায়ক মফিজ উদ্দীন আহমেদ এই সভার সভাপতিত্বে থাকবেন। সভায় গভর্নর ও বিএসইসি চেয়ারম্যান তাদের প্রতিনিধি পাঠাবেন বলে জানা গেছে। এই বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দীন বলেন, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আগেই নানা বিষয় আলোচনা হয়েছিল যেসব বিষয় নিয়ে, সেগুলোর বাস্তবায়ন, অগ্রগতি ও পর্যালোচনার জন্য এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। তবে কোন কোন বিষয় কবে আলোচনা হয়েছিল, সেগুলো উল্লেখ করেননি এই কর্মকর্তা। পুঁজিবাজারে সা¤প্রতিক পরিস্থিতিতে এই বৈঠকের দিকে দৃষ্টি রয়েছে বিনিয়াগকারীদের।
সূত্র মতে, আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মধ্যে নানা বিষয়ে মতভেদের প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। বাজার যখন উত্থানে ছিল, তখন এই বিষয়গুলো সেভাবে গুরুত্ব পায়নি। তবে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বাজার সংশোধন শুরু হওয়ার পর এই মতভেদ বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।