Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাহাড়ি অঞ্চলে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক

এস. কে. সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যা থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারদিক। ভোরে সবকিছুই দেখা যায় ধোঁয়াশার মতো। এই শীত ও কুয়াশাকে উপেক্ষা করে বোরো মৌসুম সামনে রেখে গারো পাহাড়ের ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ি উপজেলায় বোরোর বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। এক/দুই ফসলি জমিতে বোরো ফসলের ওপরই বেশী নির্ভরশীল পাহাড়ি অঞ্চলের কৃষক পরিবারগুলো। উৎপাদিত বোরো ফসলের আয় দিয়ে সারা বছর পরিবার নিয়ে চলতে হয় তাঁদের। তাই বোরো মৌসুমের শুরুতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে গারো পাহাড়ের বিলাঞ্চলের কৃষক পরিবারের মাঝে। তবে তারা দুঃচিন্তায় রয়েছেন ডিজেলের বর্ধিত মূল্য নিয়ে।
ঝিনাইগাতী উপজেলার বিলাঞ্চলে সরেজমিন দেখা যায়, বীজতলা তৈরিতে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকেরা। বন্দভাটপাড়া গ্রামের কৃষক রুস্তম আলী, শালচুড়া গ্রামের কৃষক সরোয়ারর্দী দুদু মন্ডল, উত্তর দাড়িয়ার পাড় বড় বাড়ির কৃষক খোরশেদ আলম, প্রতাবনগরের কৃষক ডা. আব্দুল বারী বলেন, ‘বীজতলার খেত তৈরি করে বীজ বপন করা হচ্ছে। বীজতলার কাজ শেষ করেই রোপণের জন্য জমি প্রস্তুুত করতে হবে। এখন আমরা ব্যস্ত সময় পার করছি।’ তবে ডিজেলের দাম বাড়ায় সেচ খরচ বাড়বে এ দু:চিন্তায় আছি।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির জানান, এ বছর বর্ষার পানি দ্রæত সরে যাওয়ায় কৃষকরা আমন চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। ফসল-ফলন বাজারে দাম ও ভালই পাচ্ছে কৃষকরা। তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি তবে গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশীই আবাদ হয়েছিল। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের চেয়ে বেশীই হবে আশা করি। তবে এ মৌসুমে আমন আবাদে ফলন বেশি হওয়ায় এবং ভাল দাম পাওয়ায়, কৃষকরা এখন কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বোরো আবাদে। এদিকে দুই ফসলি বোরো জমিতে আমন চাষ হওয়ায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রার সঠিক হিসাব তুলে আনতে মাঠে কাজ করছেন কৃষি অফিসের লোকজন। মহারশী নদীতে রাবার ড্যামের কল্যানে গত বছরের চেয়ে এবার বেশী জমিতে বোরো আবাদ হবে বলে আশা করছি। গত বছর সেই রোপণকৃত বোরো জমির বিপরীতে বীজতলা তৈরি হয়েছিল হাইব্রিড ৩০০ হেক্টর, উফশী ২৮৫ হেক্টর ও স্থানীয় ০৫ হেক্টরসহ মোট ৫৯০ হেক্টর। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা বেশি হবে বলে দাবি করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ, হুমায়ুন কবির।
উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ বলেন, ‘কৃষি অফিস থেকে বীজতলার জন্য ভালো জাতের বীজ সংগ্রহের বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ বছর বোরো ধানের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাতো অর্জিত হবেই, মহারশী নদীর রাবার ড্যামের কল্যাণে ভাটি এলাকার ও হাজার হজার একর জমি বোরোর আওতায় আসবে, তাই আরো বেশী জমিতে বোরো আবাদ হবে বলে আশা করছি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ