পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগও থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এখনো আওয়ামী লীগ যে আছে ওই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বেঁচে আছেন বলেই। তা না হলে আওয়ামী লীগ থাকবে না। এদেশের যদি গণতন্ত্রকে ঠিক রাখতে চাই, এদেশের যদি সত্যিকার অর্থেই সুশাসন চালুক রাখতে চাই, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করে জনগণের অধিকার যদি ফিরিয়ে আনতে চাই তাহলে অবশ্যই দেশনেত্রীকে এই রাজনীতিতে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে, গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী খালেদা জিয়ার প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে অংশ নেয়। এই সমাবেশে ব্যাপক নেতা-কর্মীর উপস্থিতির কারণে এই সড়কে একটা পর্যায়ে যানবাহন চালাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসায় দ্রæত বিদেশে না পাঠালে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে হুশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, খুব পরিস্কার করে সরকারের কাছে বলতে চাই, আর বিলম্ব করবেন না। অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন এবং তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় এদেশের জনগণ আপনাদেরকে ক্ষমা করবে না। আপনাদেরকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে এবং এই আন্দোলনই হবে এই সরকার পতনের শুরু।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের ছাত্ররা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে, অনেকে গুম হয়ে গেছে, অনেকে খুন হয়েছে, কারাগারে এখনো আমাদের ছাত্র নেতারা নির্যাতন ভোগ করছেন। এদেশকে মুক্ত করতে হলে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হলে যুবক-তরুণ-ছাত্রদেরকে জেগে উঠতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার বিদেশে চিকিৎসায় পাঠানো নিশ্চিত করতে হবে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আমরা কি সবাই প্রস্তুত আছি আন্দোলনে ত্যাগ স্বীকার করতে? এই সময়ে ছাত্র দলের নেতা-কর্মীরা হাত উঁচু করে ‘হ্যাঁ’ সূচক জবাব দিলে তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ আমরা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে সক্ষম হবো, তাকে বিদেশে পাঠাতে সক্ষম হবো।
খালেদা জিয়াকে সরকার পথের কাটা মনে করে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে যদি বন্দি করে রাখা যায়, চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো না যায়, তিনি যদি জীবন থেকে চলে যান তাহলে আপনাদের (আওয়ামী লীগ) পথের কাটা দূর হবে। আমি তাদেরকে বলতে চাই, তা হবে না।শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে তারা ভেবেছিলেন যে, বোধহয় শেষ হয়ে গেলো বিএনপি, শেষ হয়ে গেলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জায়গা। তা হয়নি। ঠিক একইভাবে বলতে চাই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সঠিকভাবেই তিনি তার উত্তরাধিকারী নির্বাচন করেছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবকে এবং তারই নেতৃত্বে এই দল এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, আমাদের সার্বভৌমত্বে প্রতীক, আমাদের গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি আছেন বলেই এখনো গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলছে, তিনি আছেন বলেই এখন আমাদের শত্রæরা আমাদের সীমান্তে তারা ভয় পায়।
ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের পরিচালনায় সমাবেশে সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে আসাদুজ্জামান রিপন, আমানউল্লাহ আমান, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম আলিম, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, আকরামুল হাসান প্রমূথ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।