রাজারবাগ দরবার শরীপের পীর মুহাম্মদ দিল্লুর রহমানসহ ৪ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সম্পূরক রিট করা হয়েছে। অপর তিন বিবাদী হলেন, শাকিরুল কবির, ফারুকুর রহমান ও মফিজুল ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী একরামুল আহসান কাঞ্চনের পক্ষে অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বশির সম্পূরক রিটটি ফাইল করেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চে রিটের শুনানি হবে বলে জানিযেছেন এ আইনজীবী।
গত ১২ সেপ্টেম্বর সিআইডির দাখিল করা প্রতিবেদনে ব্যবসায়ী একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি ভুয়া মামলার নেপথ্যে রাজারবাগের পীর দিল্লুর রহমানের নাম উঠে আসে তদন্তে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) হাইকোর্টে ওই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তবে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখিত পীরের কারসাজির তথ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত।
এর আগে ঢাকার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ‘অস্তিত্বহীন’ বাদীর করা ৪৯ মামলার প্রতিকার চেয়ে রিট করা হয়। এমাদুল হক বশির বলেন, ঢাকার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় তিনি এক হাজার ৪৬৫ দিন কারাভোগ করেছেন। কিন্তু একটি মামলারও বাদীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিবেচনায় তিনি অনেক মামলায় খালাস পেয়েছেন। এর প্রতিকার চেয়ে তিনি রিট করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এসবি), অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (সিআিইড), র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ ৪০ জনকে বিবাদী করা হয়। রিটের শুনানি শেষে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পীরের সহায়-সম্পত্তির বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।