বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ছাত্রলীগের নেতাদের জের, অপমান, অবরুদ্ধ করে রাখা ও মানসিক নির্যাতনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কুয়েট প্রশাসন একটি কমিটি গঠন করেছিল। তবে ওই কমিটির দুই জন সদস্য তদন্ত করতে অপারগতা জানিয়েছেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরী সিন্ডিকেটের সভা ডাকা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কুয়েটের ভিসি অধ্যাপক কাজী সাজ্জাদ হোসেন।
সূত্র জানায়, অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এ কমিটির সভাপতি ছিলেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম। এছাড়া দুইজন সদস্য হলেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান ও ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. কল্যাণ কুমার হালদার। তবে এদের মধ্যে থেকে অধ্যাপক ড. কল্যাণ কুমার হালদার লিখিত ভাবে ও ড. মো. আরিফুল ইসলাম অলিখিত ভাবে তদন্ত করতে অপারগতা জানিয়েছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত কমটিরি এই দুই সদস্য ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ক কাজ চালাতে বিব্রত বোধ করছেন।
কুয়েটের ভিসি অধ্যাপক কাজী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘তদন্ত কমিটির দুইজন সদস্যের অপারগতা জানিয়েছেন। নতুন করে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরী সিন্ডিকেটের সভা ডাকা হয়েছে। আজ বিকেল সাগে ৪ টায় এ সিন্ডিকেটের মিটিং হবে। সেখান থেকে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এদিকে প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুতে কুয়েট শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে আজ প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। সেখানে প্রায় ১৫০ জন শিক্ষক কালো ব্যাজ ধারণ ধারণ করে প্রতিবাদ সভায় অংশ নেন। সভা শেষে তারা বিশ্ববিদালয়ের রেজিস্টারের কাছে একটি স্বারকলিপি দেন। এর আগে গতকাল বুধবার থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ৩ টার দিকে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান কুয়েট শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেন। তিনি কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ও লালন শাহ হলের প্রভোষ্ট ছিলেন। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা তাকে অপমান অপদস্ত করে যা সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।