বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ‘ব্লাড ব্যাংক’ এর এফডিআরের ৭০ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে উধাও হয়ে গেছে। অগ্রণী ব্যাংক স্থানীয় স্যার ইকবাল রোড শাখায় ওই টাকাগুলো এফডিআর করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে ওই টাকা ব্যাংকের ওই হিসেবে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় খুলনা সিভিল সার্জন এর নির্দেশে ৩ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি এতোদিন চাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ জানিয়েছেন, হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংকের ৭০ লাখ টাকা অগ্রণী ব্যাংকে ব্যাংকে রাখা ছিলো। কিন্তু সেই টাকা বর্তমানে ব্যাংকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় ৩ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। হাসপাতালের কনসালটেন্ট (ইএনটি) ডা: কাজী আবু রাশেদকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
ব্লাড ব্যাংকের ৭০ লাখ টাকা এফডিআর করা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে না পাওয়ার বিষয়ে ঘটনা জানতে চাইলে জেনারেল হাসপাতালে জুনিয়ার কনসালটেন্ট (ইএনটি) ডা: কাজী আবু রাশেদ বলেন, এ বিষয়ে এখনো তদন্ত চলমান রয়েছে। আমরা তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তদন্ত শেষ না হলে এ বিষয়ে নিয়ে কিছু বলতে তিনি অপরাগতা প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা: আব্দুর রাজ্জাক ও আরএমও ডা: মাহবুবুর রহমান এর আমলেই ব্লাড ব্যাংকের এফডিআর এর ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছিলো। এতো বছর বিষয়টি কারো নজরে আসেনি। টাকাগুলো অগ্রণী ব্যাংকে রাখা হয়েছিলো। ব্যাংক থেকে এই টাকা সিভিল সার্জন এবং ব্লাড ট্রান্সমিউশন অফিসার (বি টু ও ) এর যৌথ স্বাক্ষর ছাড়া কেউ তুলতে পারেন না। করোনা পরীক্ষার দুই কোটি ৫৭ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ তদন্ত করা শুরু করলে তখন ব্লাড ব্যাংকের ৭০ লাখ টাকা এফডিআর অগ্রণী ব্যাংকে না থাকার বিষয়টিও ধরা পড়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।